কর্মী সংকট: গ্রীষ্মের ছুটিতে জার্মানিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি
এয়ারপোর্টে ফ্লাইট বাতিল এবং যাত্রীদের দীর্ঘ সারি৷ শুধু এয়ারপোর্ট নয়, রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে হোটেলেও কর্মীসংকট৷ ইউরোপে, বিশেষ করে জার্মানিতে গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হওয়ায় ভোগান্তি চরম রূপ নিয়েছে৷
বিমানবন্দরে দীর্ঘ সারি
ফ্লাইট বাতিলের একটি কারণ হল জার্মান বিমানবন্দরে কর্মীর অভাব। জার্মান ইকোনমিক ইনস্টিটিউটের একটি সমীক্ষা অনুসারে প্রায় সাত হাজার ২০০টি শূন্য পদ রয়েছে। মহামারি চলার সময় এয়ারলাইন্সকে দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে কর্মী ছাঁটাই করে৷ সেসব কর্মী এরই মধ্য়ে ফুড ডেলিভারিসহ অন্য নানা কাজে যোগ দেয়ায় এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আর এয়ারলাইন্সের খালি পদগুলোতে লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷
বিদেশি কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ
বিমানবন্দরের কর্মী সংকট দূর করতে দ্রুতগতিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে চায় জার্মান সরকার৷ সে লক্ষ্যে কয়েক হাজার কর্মীর কাজের অনুমতিপত্র ও ভিসা নিয়ে কাজ চলছে৷ এইসব কর্মীদের বেশিরভাগই আসবেন তুরস্ক থেকে৷ জার্মান মন্ত্রীদের আশা, এর ফলে গ্রীষ্মে শুরু হওয়া ভ্রমণ জটিলতা এবং ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি কমানো সম্ভব হবে৷
অনুন্নত কর্মপরিবেশ
কর্মী স্বল্পতার আরেকটি কারণ অনুন্নত কর্মপরিবেশ। স্প্যানিশ ট্রেড ইউনিয়ন ইউএসও, বাজেট এয়ারলাইন্স রায়ানএয়ার এর উদাহরণ দিয়ে বলেছে, তারা শ্রমিকদের অধিকারকে সম্মান করে শ্রম আইন এবং আদালতের রায় মেনে চলে না। ধর্মঘটের ডাক দিয়ে এই ট্রেড ইউনিয়ন স্টিকপ্লা ইউনিয়নে যোগ দিয়েছে৷ এর ফলে পুরো ইউরোপে প্রভাব পড়তে পারে৷
হোটেল ও রেস্টুরেন্টেও সংকট
জার্মান হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে অ্যাসোসিয়েশন- ডেহোগা জানিয়েছে আতিথেয়তা খাতে একন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নতুন কর্মী নিয়োগ৷ এই খাতের ৬০ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই এখন নতুন কর্মী নিয়োগ দিতে চায়৷ পাশাপাশি ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত করোনার বিধিনিষেধের কারণে এই খাতে ৭৫ বিলিয়ন ইউরোর ক্ষতি হয়েছে৷ ফলে তাদের ক্ষেত্রে এই সংকট দ্বিমুখী৷
জার্মান রেলে সংকট নেই
পর্যটনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নানা খাত কর্মী সংকটে জর্জরিত হলেও জার্মান রেলে সে সংকট নেই৷ ফলে জার্মানির অভ্যন্তরে ভ্রমণে যারা ট্রেনকে বেছে নিচ্ছেন, তাদের তুলনামূলক কম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে৷ জার্মান জাতীয় রেল কোম্পানি ডয়চেবানের এমন কোনো কর্মীসংকট নেই৷ গত বছরই তারা ২২ গাজার নতুন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে৷