কলকাতার পেশাদারদের শখ ফোটোগ্রাফি
৭ জানুয়ারি ২০১১কলকাতার ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলের যে জায়গাটায় আজকাল প্রায় রোজই কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের জমায়েত থাকে, সেখানেই দেখা হয়ে গেল পুরনো পরিচিত এক ডাক্তার বাবুর সঙ্গে৷ কলকাতার ব্যস্ততম অ্যানাসথেটিস্টদের একজন, ডাঃ নির্মল হালদার, সদ্য কেনা ক্যামেরা হাতে ছবি তুলে বেড়াচ্ছেন৷ একটু আগেই কিনেছেন অত্যাধুনিক ডিজিটাল এস এল আর-টি, সেটাই পরখ করে দেখছেন৷ কেমন লাগছে নতুন ক্যামেরা? ডাঃ হালদার জানালেন, মনে হচ্ছে, এবার থেকে যা দেখবেন, পছন্দ হলে সবই সঙ্গে রেখে নেবেন, অর্থাৎ ক্যামেরায়৷
ব্যস্ত ডাক্তারবাবুর এই ছবি তুলতে বেরিয়ে পড়া কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়৷ বরং ব্যস্ত পেশাদাররা অনেকেই আজকাল ছবি তোলাকে খুব সিরিয়াস এক অবসরযাপন হিসেবে বেছে নিয়েছেন৷ এদের অনেকেই চমৎকার ছবি তোলেন৷ অনেকে ভাল ছবি তুলবেন বলে কোনও ফটোগ্রাফিক ক্লাবের সদস্য হয়ে গেছেন৷ আবার কেউ কেউ ছবি তোলার সূত্র ধরে পাখি বা বন্যপ্রাণীর অনুরাগী হয়ে গেছেন৷ পরিচয় দিতে অনিচ্ছুক, বহুজাতিক সংস্থা আইবিএম-এর কর্মী, পরিচিত এক তথ্য-প্রযুক্তি পেশাদার যেমন জানালেন যে, পাখির ছবি তুলতে তুলতে তিনি নিজেই এখন ছোটখাট একজন পক্ষী বিশারদ হয়ে গেছেন৷ তবে ছবি তোলার জন্য বেরিয়ে পড়ার সুযোগ কালেভদ্রে আসে৷ যেমন বললেন ডাঃ নির্মল হালদার৷
আসলে ডিজিটাল ক্যামেরার কল্যাণে ছবি তোলাটা এখন তুলনায় সহজ, এবং তার থেকেও বড় কথা, আগের থেকে অনেক কম সময়সাপেক্ষ হয়েছে৷ সম্ভবত সেই কারণেই ব্যস্ত পেশাদারদের প্রিয় নেশা হয়ে উঠছে ফটোগ্রাফি৷
প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী