1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলাবাগানে কিশোরী ধর্ষণ-হত্যা মামলায় দিহানের বিচার শুরু

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে তার বন্ধু ইফতেখার ফারদিন দিহানের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত৷

https://p.dw.com/p/476sw
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দিহানছবি: bdnews24.com

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াত বুধবার আলোচিত এ মামলায় দিহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর তারিখ রাখেন ১৬ মার্চ৷

কাঠগড়ায় দাঁড়ানো দিহানকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর দিহান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান৷ তার আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন সেসময় দিহানের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করে বলেন, ‘‘তারা পরস্পরের সম্মতিতে মিলিত হন৷ কোনো জবরদস্তি সেখানে হয়নি৷ আসামি অব্যাহতি পাবেন৷’’ দিহানের ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন বিচারক নথিভুক্ত করার পরে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়৷

আলোচিত এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৫৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফাহানা আহমেদ অরেঞ্জ৷

গত ৮ নভেম্বর দিহানকে একমাত্র আসামি করে হাকিম আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন পিবিআই পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ৷ অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি মামলাটির নথিপত্র ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের আদেশ দেন৷

গত ৭ জানুয়ারি কলাবাগানে দিহান তার বাড়ি থেকে তার বন্ধুকে ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান৷ তবে তার আগেই কিশোরীর মৃত্যু হয়৷ পরদিন মেয়েটির বাবা দিহানকে আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করায় পুলিশ দিহানকে গ্রেপ্তার করে৷

ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেছিলেন, ‘‘মেয়েটির শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া না গেলেও যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে৷ বিকৃত যৌনাচারের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে৷’’ তবে দিহানের দাবি ছিল, ‘পরস্পরের সম্মতিতে' তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক হয় এবং মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে৷

ঘটনার তদন্ত করে দেওয়া অভিযোগপত্রে খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘‘ভিকটিমের (শিক্ষার্থী) যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হওয়ার একমাত্র কারণ, আসামি দিহান তাকে ফুসলিয়ে তার নির্জন বাসায় এনে অমানবিকভাবে ধর্ষণ করেন৷ এছাড়া বর্বরোচিত ও পৈশাচিকভাবে ফরেন বডি ভিকটিমের গোপনাঙ্গে প্রবেশ করান৷ ধর্ষণের সময় আসামি দিহানের অমানবিক কার্যকলাপের কারণে গোপনাঙ্গে প্রচুর রক্তক্ষরণের সৃষ্টি হলে ভুক্তভোগী অচেতন হয়ে পড়েন৷’’ 

‘‘আসামি ধর্ষণের বিষয়টি কৌশলে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ভিকটিমকে সঙ্গে নিয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান৷ দিহান ভিকটিমের পোশাক ঘটনাস্থলে রেখে নিজের টি শার্ট ও প্যান্ট পরিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান৷ কিন্তু পুলিশ খুব দ্রুত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে চলে যাওয়ায় আসামি দিহান পালানো বা অন্য কোনো পরিকল্পনা করতে ব্যর্থ হন৷’’ 

মামলাটিতে আসামি দিহানের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে৷ এবং সে ধারায় বলা আছে, ধর্ষণ বা ধর্ষণ পরবর্তী কোনো কার্যকলাপের ফলে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে আসামির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ অন্যূন এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড হবে ৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান