1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাটালুনিয়ায় ফেডারেল শাসন

৩১ অক্টোবর ২০১৭

প্রাথমিক প্রতিরোধের পর কাটালুনিয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কার্যত স্পেনের ফেডারেল সরকারের শাসন মেনে নিয়েছে৷ আগাম নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে তারা৷ এদিকে বরখাস্ত হওয়া মুখ্যমন্ত্রী বেলজিয়ামে চলে গেছেন৷

https://p.dw.com/p/2mmx9
কার্যত পালিয়ে গেলেন কাটালুনিয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
ছবি: Reuters/J. Nazca

কাটালুনিয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বরখাস্ত হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত দেশ ছেড়ে চলে গেলেন কারলেস পুজেমন৷ স্পেনের সরকারি কৌঁশুলি তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, দেশদ্রোহ ও সরকারি তহবিল তছরুপের অভিযোগ এনেছেন৷ এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে আদালত ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের রায় দিতে পারে৷

এমনই প্রেক্ষাপটে নিজের প্রাক্তন প্রশাসনের বেশ কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে বেলজিয়ামে চলে গিয়েছেন পুজেমন৷ সেখানে এক আইনজীবী নিয়োগ করে সম্ভবত রাজনৈতিক আশ্রয়ের চেষ্টা করছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ তবে তাঁর আইনজীবী এমন প্রচেষ্টার কথা অস্বীকার করেন৷ উল্লেখ্য, বেলজিয়ামের বিচ্ছিন্নতাকামী ফ্লেমিশ অঞ্চলের নেতারা কাটালুনিয়ার স্বাধীনতার প্রচেষ্টার প্রতি সহানুভুতিশীল৷ তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ হিসেবে বেলজিয়াম কীভাবে অন্য একটি সদস্য দেশের নাগরিককে আশ্রয় দিতে পারে, সে বিষয়টি দুর্বোধ্য রয়েছে৷

এদিকে মাদ্রিদের ফেডারেল সরকার কাটালুনিয়া রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে৷ আগামী ২১শে ডিসেম্বর আগাম নির্বাচনের পর নতুন রাজ্য সরকার গঠন হওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চালু থাকবে৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী শিবির অসহযোগিতা আন্দোলনের ডাক দেওয়া সত্ত্বেও সোমবার সরকারি কর্মচারীরা কাজে যোগ দিয়েছেন৷

এদিকে কাটালুনিয়া রাজ্যের আগাম নির্বাচনে অংশ নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই প্রধান বিচ্ছিন্নতাবাদী দল৷ মাদ্রিদের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মুখ্যমন্ত্রী পুজেমন ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী ওরিয়ল জুনকেরাস ব্রাসেলস চলে যাবার পরেও তাঁদের দুই দল এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শিবিরে বিভাজনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে৷ রাজ্য বিধানসভার সদস্যরাও মাদ্রিদের সিদ্ধান্ত কার্যত মেনে নিয়েছেন৷মাদ্রিদের শাসনের বিরুদ্ধে গণ অসহযোগ আন্দোলনের ডাকেও তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না৷ কাটালুনিয়া রাজ্যে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়নি৷ দুটি জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, যে স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন কমে চলেছে৷ বর্তমানে মাত্র ২৯ থেকে ৩৩ শতাংশ মানুষ স্বাধীনতা চান৷ জুলাই মাসে তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪১ শতাংশ৷

পরিস্থিতি আবার শান্ত হওয়ায় স্পেনের পুঁজিবাজারে অস্থিরতা কমে গেছে৷ কিন্তু সমৃদ্ধ কাটালুনিয়া রাজ্যের অর্থনীতি বেশ নাজেহাল হয়ে পড়েছে৷ কাটালুনিয়ার শিল্প-বাণিজ্য জগতের একটা বড় অংশ মাদ্রিদের সরাসরি শাসনকে স্বাগত জানিয়েছে৷ ফলে আগামী নির্বাচনের পর পরিস্থিতির উন্নতির আশা রয়েছে৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য