1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আমিরাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ

২১ জুলাই ২০১৭

হ্যাকিং করে ভুয়া প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে কাতার সংকট শুরু করা হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে – এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তদন্তকারীরা৷ এদিকে সন্ত্রাস দমনে আইন পরিবর্তন করলো কাতার৷

https://p.dw.com/p/2gv7g
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামেদ আল তানি
ছবি: picture-alliance/AP Photo/O. Faisal

সৌদি আরব সহ কয়েকটি দেশ কেন আচমকা কাতারের বিরুদ্ধে একঝাঁক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিল, তার মূল কারণ নিয়ে এতকাল অনেক জল্পনাকল্পনা চলছিল৷ কাতারের বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগ ছিল, সে দেশের আমির শেখ তামিম বিন হামেদ আল তানি ইরান, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস, ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন৷ সরকারি কাতার নিউজ এজেন্সির ওয়েবসাইটে সেই সব মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছিল৷ কিন্তু কাতার দাবি করে, আমির কখনোই এমন সব মন্তব্য করে নি – ওয়েবসাইট হ্যাক করে সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল৷

গত কয়েক দিন ধরেই সংযুক্ত আরব আমিরাতকে এই হ্যাকিং-এর জন্য দায়ী করা হচ্ছিল৷ বৃহস্পতিবার কাতারের তদন্তকারী গোষ্ঠীর প্রধান জনারেল আলি মহম্মদ আল-মোহানাদি এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই অভিযোগ করলেন৷ তিনি বলেন, আমিরাতের দু'টি সাইট থেকে এই হ্যাকিং পরিচালনা করা হয়েছিল৷ হ্যাকাররা সংবাদ সংস্থার নেটওয়ার্ক দ্রুত কবজা করে সব অ্যাকাউন্ট চুরি করে নেয় এবং ভুয়া খবর আপলোড করে দেয়৷ কাতারের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের উপ প্রধান সাংবাদিকদের আরও বলেন, একজন হ্যাকার এজেন্সির নেটওয়ার্কে একটি ত্রুটি শনাক্ত করে স্কাইপের মাধ্যমে আরেক ব্যক্তিকে সেই খবর জানিয়েছিল৷ সেই ব্যক্তি এই সুযোগে নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নেয়৷ উল্লেখ্য, জুন মাসেই কাতারের অ্যাটর্নি জেনারেল এই সাইবার হামলার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলিকে সন্দেহ করছিলেন৷

কাতারে হ্যাকিং-এর পেছনে সংযুক্ত আরব আমিরাত জড়িত, মার্কিন গোয়েন্দারাও এমন সন্দেহ করছেন বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট৷ চলতি মাসের শুরুতে এক প্রতিবেদনে এই বিস্ফোরক দাবি তোলা হয়েছিল৷

আমিরাতের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী আনওয়ার গারগাশ অবশ্য এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে আসছেন৷ কয়েকদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন৷

এদিকে সন্ত্রাসবাদে মদতের অভিযোগে কিছুটা কোণঠাসা কাতার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে৷ এক রাজকীয় ডিক্রি জারি করে সে দেশের সন্ত্রাস-দমন আইনে রদবদলের ঘোষণা করা হয়েছে৷ ফলে সন্ত্রাসবাদের সংজ্ঞা থেকে শুরু করে সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন পর্যন্ত বিষয়ে অবস্থান আরও স্পষ্ট করা হলো৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সন্ত্রাস দমন চুক্তি স্বাক্ষরের এক সপ্তাহের মধ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো৷ ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তির আওতায় কাতারের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলির দফতরে কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তাকে মোতায়েন করা হবে৷ 

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য