রায় দ্রুত কার্যকর
৬ ডিসেম্বর ২০১৩একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে গত ৫ই ফেব্রুয়রি প্রথমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল৷ এরপর এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র এবং আসামি উভয়পক্ষ আপিল করে৷ গত ১৭ই সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের রায়ে কাদের মোল্লাকে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়৷ সেই ৯৭০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে৷
ফেব্রুয়ারি মাসে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়কে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে গণজাগারণ মঞ্চ৷ তাদের আন্দোলনের মুখেই আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের সুযোগ দেয়৷ এর আগে শুধুমাত্র আসামিপক্ষের আপিলের সুযোগ ছিল৷
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জানান, এখন নিয়ম অনুযায়ী আপিল বিভাগ থেকে রায়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে যাবে৷ সেখান থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রায়টি পাঠানো হবে কারাগারে৷ এরপরই কারা-কর্তৃপক্ষ রায়টি কার্যকরের ব্যবস্থা নেবে৷ তিনি বলেন, কারাগারে রায়টি যাওয়ার পর কাদের মোল্লা কারা-কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন৷ তিনি যদি এ আবেদন জানান, তাহলে কয়েকটি দিন সময় লাগলে পারে৷ তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই কাদের মোল্লার ফাঁসির আদেশ কার্যকর হবে৷ আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপিল বিভাগে কাদের মোল্লার ফাঁসির দণ্ড হয়েছে৷ তাই এখানে আপিলের কোনো সুযোগ নেই৷ নেই রিভিউ আবেদনের সুযোগও৷
তবে কাদের মোল্লার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে৷ রায়ের কপি পাওয়ার পর, তারা তা রিভিউয়ের আবেদন করবেন৷ তিনি বলেন, রিভিউ পিটিশনের সুযোগ সাংবিধানিক অধিকার৷ এই অধিকার অন্য কোনো আইন বলে কেড়ে নেয়া যায় না৷ আর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে বলা নেই যে, মৃত্যুদণ্ড কিভাবে কার্যকর করা হবে৷ তাই এক্ষেত্রে, জেলকোড অনুসরণ করতে হবে৷ আর জেলকোড অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়ার পর ২১ দিনের আগে এই রায় কার্যকর করা যাবে না৷
ওদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে যে, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর কারাগারে নিরাপত্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং স্পর্শকাতর জায়গার নিরপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷