কাবুলের হোটেলে তালেবানের হানা, নিহত ২১
২৯ জুন ২০১১কাবুলের সর্বশেষ পরিস্থিতি
কাবুলে একটি বিলাসবহুল হোটেলে মঙ্গলবার রাতে হামলা চালায় জঙ্গিরা৷ তারা নির্বিচারে গুলি চালায় এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়৷ কাবুল পুলিশের অপরাধ বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ জহির বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ‘‘ছয় আত্মঘাতী জঙ্গি ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে হামলা চালায়৷ এতে হোটেল কর্মীসহ কমপক্ষে ২১ জন প্রাণ হারিয়েছে''৷ আত্মঘাতী হামলাকারীদের মধ্যে তিনজন শরীরের সঙ্গে বেঁধে রাখা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটায়৷ হোটেলটিতে কয়েকঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছিল জঙ্গিরা৷ সে সময় ন্যাটো'র সেনারা দুটি হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে বাকি তিন জঙ্গিকে হত্যা করেছে৷ তারা হোটেলটির ছাদে অবস্থান করছিল৷ কাবুলের পুলিশ প্রধানের বরাতে সর্বশেষ যে খবর, তাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হোটেলে প্রবেশ করেছে এবং সব অতিথি নিরাপদ আছে৷ তবে হোটেলটি থেকে এখনো ধোঁয়া বেরুচ্ছে৷
এই বিষয়ে সংবাদসংস্থাগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যে মৃতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্নতা রয়েছে৷ হতাহতের মধ্যে কোন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন কিনা তাও জানা যায়নি৷ তবে, তালেবান ইতিমধ্যে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে৷
যেভাবে হামলা
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে একাধিক সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, হোটেলটিতে যখন তালেবান হামলা চালায়, তখন অধিকাংশ অতিথি নৈশভোজে ব্যস্ত ছিলেন৷ তবে, ঠিক কিভাবে হামলা চালানো হয় তা এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি৷ হোটেলের এক অতিথি বার্তাসংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, বন্দুকধারীর হাত থেকে বাঁচতে তিনি প্রথম তলা থেকে লাফ দেন৷ এরপর পরিবারসহ অন্যত্র সরে যান৷ তখন গুলি চলছিল এবং হোটেলের রেস্টুরেন্ট অতিথিতে পূর্ণ ছিল৷ এছাড়া, বিবিসির কাবুল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হোটেলটি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে পর্যন্ত বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে৷
হামলার লক্ষ্য
ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রাদেশিক সরকারের প্রতিনিধিদের একটি বৈঠক চলছিল৷ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, সম্ভবত সেটাই ছিল হামলাকারীদের লক্ষ্য৷ কেননা, তখন হোটেলটিতে বেশ কয়েকজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন৷ এছাড়া আজ মানে বুধবার, ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আইসাফ বাহিনীর একটি বৈঠকেরও কথা রয়েছে হোটেলটিতে৷
উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৮ সালে কাবুলের সেরেনা হোটেলে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা৷ সেই হানায় যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে ও ফিলিপিনের তিন নাগরিকসহ আট ব্যক্তি প্রাণ হারায়৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম