কার্নিভাল নিয়ে আপনার যা জানা উচিত
প্রতি বছরের ১১ নভেম্বর সকাল ১১টা ১১ মিনিটে বর্ণিল পোশাক পরারা জার্মানির বিভিন্ন শহরের টাউন হলের সামনে ভিড় করেন এবং প্রতীকী অর্থে কিছুদিনের জন্য শহরের মালিকানা নিয়ে নেন৷ আর এভাবেই শুরু হয় তথাকথিত ‘‘পঞ্চম মৌসুম৷’’
১১-১১-১১ কেন গুরুত্ব পায়
সেই মধ্যযুগ থেকে ১১ সংখ্যাটি বাড়াবাড়ি আর পাপের প্রতিনিধিত্ব করছে৷ এ ধরনের সংখ্যাকে জার্মান ভাষায় মাতাল সংখ্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ কেননা, মদ্যপ অবস্থায় এক পর্যায়ে একজন মাতাল সবকিছু দু’টো করে দেখা শুরু করতে পারে৷ কার্নিভাল উৎসব শুরুর পর ‘অ্যাশ বুধবার’ অবধি চলে সীমাহীন উৎসব৷ আর সেই উৎসবের অন্যতম অনুসর্গ হচ্ছে বিয়ার পান৷
ভাঁড়দের জাগিয়ে তোলা
ডুর্সেলডর্ফে কার্নিভালের সময় এরকম ভাঁড়ের বেশভূষার মানুষ দেখাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার৷ ঠিক ১১:১১তে শহরের টাউন হলের সামনে একজন ভাঁড় সরিষা রাখার পাত্র থেকে বেরিয়ে আসেন এবং পঞ্চম ঋতু শুরুর ঘোষণা দেন৷
কোলনের তিন পুরুষের দল
কার্নিভালের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি হচ্ছে কোলনে৷ সেখানে এক রাজদম্পতি উৎসবের দেখভাল করেন৷ কোলনে এই উৎসবের ঘোষণা দেন এক কুমারী, এক রাজপুত্র এবং এক কৃষক৷ কুমারীর ভূমিকায়ও থাকেন একজন পুরুষই৷
মাইনৎসে বড় মাথা
‘হিলাউ’-য়ের কান্নার মাধ্যমে কার্নেভাল শুরু হয় জার্মানির মাইনৎস শহরে৷ সেখানে প্যারেডে অস্বাভাবিক বড় মাথার এসব কাগজের মূর্তির দেখা মেলে৷
ক্যোটবুসে কার্নেভাল
গুজব রয়েছে যে কার্নিভাল শুধু পশ্চিম জার্মানিতেই উদযাপন করা হয়৷ পূর্ব জার্মানির শহর ক্যোটবুস অবশ্য এই গুজব ভুল প্রমাণ করেছে৷ ১১/১১তে নর্তকীরা রাজপথ দখল করে নিলে মেয়র তাদের হাতে শহরের চাবি তুলে দেন৷
কার্নিভালে স্টেজ শো
১১/১১ তে কার্নিভাল শুরু হলেও বড়দিনের সময় সেটা শান্ত থাকে৷ তবে, নতুন বছরের শুরুতে আবারো জমে ওঠে কার্নিভাল৷ যেসব শহরে কার্নিভাল উদযাপন করা হয়, সেসব শহরে নিয়মিতই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এই উৎসবকে ঘিরে৷
ভাইবারফাস্টনাখ্ট
ভাইবারফাস্টনাখ্টে কার্নিভাল উৎসব তুঙ্গে ওঠে৷ সেসময় নারীরা টাউন হলে ভিড় জমায়৷ রাজপথে কার্নিভালও তখন আয়োজন করা হয়৷
হালকা চুমু
ভাইবারফাস্টনাখ্টে অবশ্যই ছেলেরাও পার্টিতে যোগ দেন৷ তবে, এই দিন যেসব পুরুষ টাই পরেন মেয়েরা সেসব টাই কেটে দেয়৷ এটা উৎসবের একটা অংশ৷ টাই কাটার বিনিময়ে পুরুষের গালে হালকা চুমুও এঁকে দেন নারীরা৷