কালো তালিকায় সৌদি আরব!
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রস্তাবিত তালিকা প্রকাশ করে৷ এর আগে থেকেই তালিকায় ১৬টি দেশের নাম ছিল৷ এই নিয়ে কালো টাকার তালিকায় থাকা দেশের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩টিতে৷
সৌদি আরব, পানামা, নাইজেরিয়া ছাড়াও নতুন যুক্ত হওয়া দেশগুলোর মধ্যে আছে লিবিয়া, বতসোয়ানা, ঘানা, সামোয়া, বাহামা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা চার রাজ্য- আমেরিকান সামোয়া, ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ডস, পুয়ের্তো রিকো ও গুয়াম৷ আগের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে কেবল বসনিয়া, গায়ানা, লাওস, উগান্ডা ও ভানুয়াতু৷ তবে আফগানিস্তান, উত্তর কোরিয়া, ইথিওপিয়া, ইরান, ইরাক, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, তিউনিসিয়া ও ইয়েমেন আগের মতোই তালিকাতে বহাল আছে৷
ইইউয়ের বিচার বিষয়ক কমিশনার ভেরা জোরুভা নতুন এ তালিকাটি প্রস্তাব করেছেন৷ তিনি বলেন, ইউরোপ ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত৷ কিন্তু এতটাই বোকা নয় যে অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ ও জঙ্গি অর্থায়নে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে৷
উল্লেখ্য নিজেদের অর্থ ব্যবস্থায় কালো টাকার উপস্থিতি বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে ইইউ৷ একইসঙ্গে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন বন্ধ করতেও বেশ তৎপর এই জোট৷ তারই জের ধরে এই তালিকা ঘোষণা করেছেন ভেরা জোরুভা৷
কালো তালিকাভুক্ত হওয়া এই দেশগুলোর সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক লেনদেন সংকটাপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে প্রস্তাবিত তালিকাটি এখনো কমিশনের সবার পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন পায়নি৷ প্রস্তাবিত এ তালিকাকে স্বীকৃতি দিতে জোটভুক্ত ২৮টি দেশ সর্বোচ্চ দু'মাস সময় পাবে৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে চাইলে তারা তালিকাটিকে প্রত্যাখ্যানও করতে পারে বলে জানিয়েছে কমিশন৷
এদিকে কালো তালিকাভুক্তির প্রস্তাবিত তালিকায় নাম উঠে আসায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সৌদি প্রশাসন৷ সৌদি অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল জাদান বলেন, ‘‘এ ধরনের তালিকাভুক্তি সৌদি আরবের জন্য ভীষণ অসম্মানের৷ তার দেশ অর্থ পাচার রোধ ও জঙ্গি অর্থায়ন রুখতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে আসছে৷ ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত থাকবে৷’’
এদিকে সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্কযুক্ত দেশ ব্রিটেন এই তালিকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে৷ একইসঙ্গে উদ্বেগও প্রকাশ করে দেশটি৷
এফএ/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)