কিউবা
২ ডিসেম্বর ২০১২কমিউনিস্ট রাষ্ট্র কিউবার গণমাধ্যম জগতের প্রায় সবকিছুই সরকারের কড়া নিয়ন্ত্রণে রাখা৷ রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ মুক্ত ও স্বাধীন সংবাদপত্র কিংবা বেতারের কোন অস্তিত্বই নেই৷ আর টেলিভিশনের কথা বলতে গেলে - শুধুমাত্র যেসব হোটেলে বিদেশি অতিথিদের আনাগোনা রয়েছে সেসব হোটেল ছাড়া অন্য কোথাও এমটিভি, ভিএইচওয়ান কিংবা এইচবিও টিভি চ্যানেল দেখার সুযোগ নেই৷
এ অবস্থায় এবার রাষ্ট্রের কড়া নজর এসে পড়েছে সংগীতের জগতেও৷ রাষ্ট্রের মদদপুষ্ট বুদ্ধিজীবী মহলের বিবেচনায় যেসব গান-বাজনা গুরুত্বহীন, বাজে কিংবা কুরুচিপূর্ণ সেসব পরিবেশনার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এমন দাবি নাকি সংগীত ইন্সটিটিউটকে শুনতে হচ্ছে প্রায় বছর খানেক ধরে৷ তারই ফলশ্রুতিতে এবার ঢাল-তলোয়ার নিয়ে সংগীত শিল্পীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামতে যাচ্ছে এই ইন্সটিটিউট৷
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ওরলান্দো ভিস্তেল দৈনিক পত্রিকা গ্রানমা'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দেশটির সরকারি কর্তাব্যক্তিরা এখন সংগীতের তালিকা ‘‘শুদ্ধিকরণ শুরু করেছেন৷ যেসব গান-বাজনা কিউবার জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক ধারার সাথে মিলে না, সেগুলোকে তালিকা থেকে ছেঁটে বিদায় করা হবে৷''
ভিস্তেল বার্তা সংস্থা এএফপি'কে আরো জানান, সংগীত শিল্পীদের কিউবায় গান-বাজনা করার জন্য সরকারের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে এবং কেউ বিধি-নিষেধ ভঙ্গ করলে তার ছাড়পত্র বাতিল করা হবে৷ এছাড়া গান-বাজনার আয়োজনকারীরাও সীমার বাইরে গেলে নিষেধাজ্ঞার শিকার হতে পারেন৷
ভিস্তেল বলেন, ‘‘যেসব গানে বেশি যৌনতার ছড়াছড়ি কিংবা উস্কানিমূলক, অশ্লীল শব্দ কিংবা বার্তা রয়েছে কিংবা যেসব গানের কথা কিউবার নারীদের জৈবিক তাড়না উস্কিয়ে দেয় এবং নারীদের শুধুমাত্র যৌনতার উপজীব্য হিসেবে উপস্থাপন করে সেগুলোর ব্যাপারেই মূলত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷''
এমনকি বেতার, দূরদর্শন ও খোলা জায়গায় আয়োজিত সংগীত আসরগুলোতে গান-বাজনার ক্ষেত্রেও বিধি-নিষেধ আরোপ করে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার বলে জানিয়েছেন ভিস্তেল৷
এএইচ / আরআই (এএফপি)