কিশোরীদের যৌনশিক্ষার অভাব
২৭ মে ২০১৫ভারতের মতো দেশে তথ্য-পরিসংখ্যানের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করা কঠিন৷ কাগজে-কলমে যা দাবি করা হয়, বাস্তবে তার মাত্রা হয় সাধারণত কয়েক গুণ বেশি৷ কিন্তু মুম্বই শহরে কিশোরীদের মধ্যে গর্ভপাত সংক্রান্ত যে সরকারি তথ্য পাওয়া গেছে, তা চমকে দেবার মতো৷ ভারতে আরটিআই বা তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ করে এই প্রশ্ন তোলা হয়েছিলো৷ তাতে জানা গেছে, প্রায় ৩১,০০০ নারী গর্ভপাত করিয়েছেন – যাঁদের মধ্যে প্রায় ১,৬০০-র বয়স ছিল ১৯ বছরের কম৷ আরেকটি সমীক্ষা অনুযায়ী, মুম্বই শহরে ১৫ বছরের কম বয়সি মেয়েদের মধ্যে গর্ভপাতের প্রবণতা ৬৭ শতাংশ বেড়ে গেছে৷ এই প্রেক্ষাপটে সোশাল মিডিয়ায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে৷
ভারতের সাংবাদিক ইন্দুজা রঘুনাথন লিখেছেন, মুম্বই কি ভারতের গর্ভপাত রাজধানী হয়ে উঠছে, নাকি অন্য শহরে সমীক্ষা চালালে আরও শঙ্কাজনক তথ্য উঠে আসবে?
সচেতনতা, যৌনশিক্ষার অভাবও এমন বিপজ্জনক অবস্থার জন্য দায়ী বলে মনে করেন যোগিনী নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী৷ এ জন্য তিনি ধর্মীয় নেতাদেরও দায়ী করেন৷
প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তা ও রাজনীতিক কিরণ বেদীও অবিলম্বে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷
যৌনতা সম্পর্কে বিকৃত ভাবনা ছড়ানোর জন্য সংবাদ মাধ্যমকে দায়ী করেছেন রীতা টরনাড নামের এক ব্যবহারকারী৷
ভারতে শুধু গর্ভপাতের কারণ নয়, গর্ভপাতের প্রক্রিয়াও অত্যন্ত বিপজ্জনক – অজয় এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে লিখেছেন, প্রতি দুই ঘণ্টায় ভারতে একজন নারী নিরাপদ গর্ভপাতের অভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন৷
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ