কুয়েট শিক্ষকের মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের আবেদন
৬ ডিসেম্বর ২০২১অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিমের মৃত্যুকে কুয়েট কর্তৃপক্ষ ‘অস্বাভাবিক হিসেবে চিহ্নিত' করায় বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে বলে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে খান জাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান৷
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করার জন্য থানায় জিডি করা হয়েছে এবং এর তদন্তের ভার খানজাহান আলী থানার পুলিশ পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসানকে দেওয়া হয়েছে৷
তিনি বলেন, ‘‘যেহেতু সেলিম হোসেনের লাশ দাফন হয়ে গেছে, তাই মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের উপায় লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত৷ সে কারণে রোববার দুপুরে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ময়নাতদন্তের আবেদন করা হলে আদালত থেকে জানানো হয়, বিষয়টি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ার৷ ওইদিন বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে৷’’
মরদেহ কুষ্টিয়াতে দাফন করার কারণে খুলনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি কুষ্টিয়ার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠাবেন বলে জানান ওসি প্রবীর বিশ্বাস৷
গত মঙ্গলবার কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ একদল শিক্ষার্থী কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সেলিমের সাথে দেখা করার পর তিনি বাসায় ফেরেন৷ বাসায় ফেরার কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়৷
সেজানসহ ওই শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক সেলিমকে মানসিক নির্যাতন করায় তিনি অসুস্থ বোধ করেন, যা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ তবে সেজান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷
অধ্যাপক সেলিমের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রথম বৈঠক রোববার হয়েছে বলে জানান কমিটির প্রধান ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক মহিউদ্দীন আহমাদ৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)