কৃষকদের জেদের কাছে হেরে গেল পুলিশ
২৭ নভেম্বর ২০২০বিশাল জয় হলো কৃষকদের। নাছোড়বান্দা কৃষকদের জেদের কাছে হার মানতে হলো পুলিশকে। রাস্তা অবরোধ করে লাঠি, গ্যাস, জলকামান চালিয়েও প্রতিবাদী কৃষকদের দিল্লিতে ঢোকা বন্ধ করতে পারল না তারা। মোদী সরকারের কৃষি আইনের প্রতিবাদ করার জন্য পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান ও কেরালার কৃষকরা দিল্লিতে ঢুকে প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলেন। আর দিল্লি ও হরিয়ানার পুলিশ কিছুতেই তাঁদের রাজধানীতে আসতে দিতে চায়নি। শেষ পর্যন্ত পুলিশের সব প্রতিরোধ অগ্রাহ্য করে কৃষকরা দিল্লির কাছে পৌঁছে যান। তাঁদের দিল্লিতে ঢোকার অনুমতি দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন। অধিকার আদায় করে নিতে পেরেছেন কৃষকরা।
দিল্লি আসার পথে বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল। কৃষকরা সেই ব্যারিকেড ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে নেয়। তারপর ট্র্যাক্টরে করে তাঁরা দিল্লির দিকে এগোতে থাকেন। দিল্লির সীমান্তে বালি ও মাটি ভর্তি ট্রাক রেখেছিল পুলিশ। লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল কাঁটা তারের বেড়া। কিন্তু অদম্য কৃষকরা সে সব অগ্রাহ্য করে দিল্লির দিকে এগিয়েছেন।
এ দিন সকালেও দিল্লি পুলিশ জানিয়েছিল, যা হওয়ার হবে, কৃষকদের দিল্লিতে ঢুকতে দেয়া হবে না। কিন্তু কৃষকরা লাঠির আঘাত, কাঁদানে গ্যাসের শেল, এই শীতে জলকামানের আক্রমণ সত্ত্বেও এগিয়েছেন। তাঁরা সঙ্গে রেখেছেন বেশ কিছুদিনের খাবার দাবার। দেশের অধিকাংশ কৃষক সংগঠনের ডাকে এই বিক্ষোভ হচ্ছে। কৃষকদের দাবি, নতুন কৃষি আইনের ফলে তাঁদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাঁরা এরপর কর্পোরেটের দাসে পরিণত হবেন।
দিল্লি পুলিশের যুক্তি ছিল, করোনা পরিস্থিতি গুরুতর। এই অবস্থায় এতজন কৃষকের বিক্ষোভ তারা কিছুতেই হতে দেবে না। কিন্তু স্বরাজ পার্টির নেতা যোগেন্দ্র যাদব বলেন, বিহারে যখন বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছিল, তখন করোনার বিধিনিষেধ কোথায় ছিল? করোনার নিয়ম শুধু কৃষকদের জন্য? বিহারের ভোটে প্রায় এক লাখ মানুষকে নিয়ে জনসভা করেছেন তেজস্বী যাদব এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী। তখন করোনার কথা ভাবা হয়নি।
শেষ পর্যন্ত বিকেলের দিকে হার মানে পুলিশ। ঠিক হয়, কৃষকদের এসকর্ট করে রামলীলা ময়দানের বিক্ষোভস্থলে নিয়ে যাওয়া হবে। দিল্লির বুকে দাঁড়িয়ে কৃষকরা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পারবেন।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)