1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কে জিতলেন, মোদী না ইমরান?

৪ মার্চ ২০১৯

সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে কার জয় হলো, সে উত্তর খুঁজছেন দুই দেশের মানুষ৷ কিন্তু কী বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা?

https://p.dw.com/p/3EPFI
Indien, Kaschmir, Budgam: Indische Soldaten stehen neben den Trümmern des IAF-Hubschraubers
ছবি: Reuters/D. Ismael

 ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পরিস্থিতি আপাতত কিছুটা শান্ত৷ ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে এই দুই দেশের মধ্যে যে অশান্তি দেখা যাচ্ছিল, তাতে অনেকেই দেখছিলেন আসন্ন যুদ্ধের ছায়া৷ শুধু তাই নয়, দুই দেশের নাগরিক ও সংবাদমাধ্যমেও দেখানো হয় যুদ্ধের পক্ষে যুক্তি৷

কিন্তু বর্তমানে সেসব আলোচনা থেমে ভারত ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় নজর কাড়ছেন ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদী৷

শান্তির বার্তা হিসেবে ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বার্তামানকে ছেড়ে দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ ইতিমধ্যে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার জোর দাবি উঠেছে৷ এই দাবির পক্ষে সই করেছেন চার লাখেরও বেশি মানুষ৷

অন্যদিকে, ভারতের আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি ও সামরিক ক্ষমতাকে ভয় পেয়েই নাকি পাইলটকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন ইমরান খান৷ এমনই যুক্তি তুলে ধরছেন ভারতে মোদীর সপক্ষে থাকা মানুষেরা৷

কিন্তু দুই দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বর্তমান ভারত-পাকিস্তান সমীকরণকে কিছুটা অন্যভাবে দেখছেন৷

উগ্র জাতীয়তাবাদ বনাম সন্ত্রাসবাদ: কার পক্ষে বেশি যুক্তি?

ইমরান খানের বিরোধী হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক গুল বুখারি একটি টুইটে পাকিস্তানের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন৷

বিশ্লেষক মোশারফ জায়দি'র মতে, ‘‘বিশ্বের কাছে   মোদী একজন যুদ্ধপ্রেমী নেতা, কিন্তু বর্তমানে ইমরান একজন প্রকৃত রাষ্ট্রনায়ক৷''

প্রশংসার সাথে সাথে জায়দি প্রশ্ন করেন ইমরানের অভ্যন্তরীণ নীতিকে৷ তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানের যুদ্ধ ছাড়াও আরো সমস্যা রয়েছে, যেমন শিক্ষা, পানি ইত্যাদি৷ সেগুলোর দায়িত্বও তাঁর কাঁধেই৷ ভুলে গেলে চলবে না৷''

এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে ইমরান খানকে ভারতীয় পাইলটকে ছেড়ে দেবার জন্য বাহবা দিলেও দেশের ভেতর গড়ে ওঠা বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন৷

অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা একমত, মোদীর ভাগ্যে নেই কোনো নোবেল পুরস্কারে মনোনয়নের গুজবও৷

পাকিস্তানের পাইলট ফিরিয়ে দেওয়াকে অনেকেই ভারতের জয় হিসেবে দেখলেও জৈশ-ই-মোহাম্মদের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলার কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ না পাওয়াকে অনেকে মোদীর নির্বাচনি চাল হিসেবে দেখছেন৷

কিন্তু তার কোনো প্রভাব পড়ছে না আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে৷

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী যশবন্ত দেশমুখ জানান, সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষের ফলে নরেন্দ্র মোদীর দল ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে অন্তত আরো পাঁচ শতাংশ ভোট বাড়তে পারে৷

বিশিষ্ট সাংবাদিক টি.কে অরুণ এক প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘‘পাকিস্তানকে একহাত নেবার এই চাল দেশে জাতীয়তাবাদের উত্তেজনা বাড়াবে৷ এই কাজে মোদী সফল৷''

এসএস/জেডএইচ (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য