কে হচ্ছেন জাতিসংঘের পরবর্তী প্রধান জলবায়ু কর্মকর্তা?
৭ মে ২০১০মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে দুজনের মধ্যে৷ একটি ইন্টারভিউ প্যানেল সম্ভাব্য কয়েকজনের নাম থেকে এ দুজনকে বেছে নিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে৷ এদের একজন হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পর্যটন মন্ত্রী মার্টিনুস ভ্যান শালকভিক, আর অন্যজন কস্টারিকার ক্রিস্টিয়ানা ফিগেরেস, যিনি বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নেত্রী৷
এদিকে একটি সূত্রের উল্লেখ করে রয়টার্স বার্তা সংস্থা বলছে যে, এ দুজনের মধ্যে শালকভিকের নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি৷ কারণ বেশির ভাগ দেশই নাকি তাঁকে সমর্থন করছে৷ এছাড়া নিজে মন্ত্রী হওয়ায় অন্যান্য দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে তিনি ভালভাবে আলোচনা করতে পারবেন বলে অনেকের ধারণা৷ আর রাজনীতিবিদ হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা চালিয়ে যেতে সুবিধা হবে৷ আবার একটি প্রদেশের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা থাকায় ব্যবস্থাপনা বিষয়টিও তাঁর নখদর্পণে৷ নরওয়ের পরিবেশমন্ত্রী এরিক সোলহাইম শালকভিকের প্রশংসা করে বলেছেন যে, এ পদের জন্য তিনি একজন শক্তিশালী প্রার্থী৷ কারণ এক সময় তিনি তাঁর দেশের পরিবেশমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন৷ অন্যদিকে কস্টারিকার ফিগেরেস ১৯৯৫ সাল থেকে তাঁর দেশের জলবায়ু বিষয়ক প্রধান আলোচক হিসেবে কাজ করছেন৷
তবে যেই নির্বাচিত হোন না কেন, এটা নিশ্চিত যে, উন্নয়নশীল কোন দেশ থেকেই এবার ঐ উঁচু পদে বসতে যাচ্ছেন কেউ৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোই যে বেশি ক্ষতির স্বীকার হচ্ছে, এটা হবে তাঁরই স্বীকৃতি৷ জাতিসংঘের মহাসচিব এই দুজনের মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নেবেন৷
নতুন প্রধানকে প্রথম বড় ধরনের দায়িত্বের মুখে পড়তে হবে এ বছরেরই ডিসেম্বরে৷ সেসময় মেক্সিকোর কানকুনে অনুষ্ঠিত হবে কোপেনহেগেন সম্মেলন পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন৷
উল্লেখ্য, বর্তমান প্রধান জলবায়ু কর্মকর্তা ইভো ডি বোয়ার হল্যান্ডের নাগরিক৷ জাতিসংঘ থেকে পদত্যাগের পর তিনি শীর্ষস্থানীয় অডিটর ফার্ম কেপিএমজি-তে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে৷ গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন৷ ঐ সময় তিনি বলেন যে, কোপেনহেগেন সম্মেলন ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এক নতুন ধরনের কূটনীতি শুরু হয়েছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক