কেন টেস্ট সিরিজে নিউজিল্যান্ডের কাছে লজ্জার হার ভারতের?
এককথায় দর্পচূর্ণ। দেশের মাটিতে তিনটি টেস্টই হারলো ভারত। ওই হোয়াইটওয়াশের পর উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
১৯৮৩ সালের পর
শেষবার দেশের মাটিতে সবকটি টেস্টে ভারতকে হারতে হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। তারপর ২০২৪ সালে আবার ভারতের ক্রিকেট সমর্থকদের এই লজ্জা উপহার দিলেন রোহিত শর্মার দলের ক্রিকেটাররা।
দুই প্রধান ব্যাটারের ব্যর্থতা
আবার ব্যর্থ রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। এই মরসুমে রোহিতের টেস্ট গড় ১৩ দশমিক তিন ও বিরাটের ১৫ দশমিক পাঁচ। ভারতীয় দলে এই দুই সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটারের উপরই দল খুব বেশি করে নির্ভরশীল ছিল। রোববার তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে রোহিত করলেন ১১ রান, বিরাট এক রান।
অসহায় আত্মসমর্পণ
রোহিত, কোহলি-সহ ভারতীয় ব্যাটাররা নিউজিল্যান্ডের স্পিনের সামনে যে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন তা দেখে ধারাভাষ্যকার, সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেটপ্রেমী সকলের চোখ কপালে উঠেছে। ভারত এই সিরিজে না পেরেছে পেসারদের সামলাতে, না পেরেছে স্পিনারদের মোকাবিলা করতে। স্যান্টনার, এজাজ, ফিলিপসের স্পিন বোলিং আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভারতীয় ব্যাটাররা অনায়াসে স্পিন বোলিং সামলান, এই কথা আর বলা যাবে না।
কী বলছেন শচিন?
সামাজিক মাধ্যমে শচিন টেন্ডুলকর বলেছেন, ''এই ৩-০-তে হার মেনে নেয়া কঠিন। আত্মসমালোচনা দরকার। প্রস্তুতির অভাবের জন্য কি এই ফল হলো, না কি খারাপ শট খেলে ব্যাটাররা আউট হলেন অথবা ম্যাচ প্র্যাকটিস যথেষ্ট পাওয়া যায়নি?'' শচিন বলেছেন, ''প্রথম ইনিংসে গিল ও দুই ইনিংসেই পন্থ খুবই ভালো খেলেছেন। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা পুরো সিরিজজুড়ে ভালো খেলে গেছেন।''
গাভাস্কার যা বললেন
সুনীল গাভাস্কার বলেছেন, ''রোহিত, বিরাটরা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ওরা ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে প্রস্তুতি নিতে পারত।'' নির্বাচকেরাও তাই চেয়েছিলেন। কিন্তু ভারতীয় দলে খেলা প্লেয়াররা দলীপ ট্রফিতে কেউই খেলেননি।
স্পিন সহায়ক উইকেটে
সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেওয়াগ বলেছেন, ''স্পিন সহায়ক উিকেটে খেলতেই পারেননি ব্যাটাররা।'' আরেক সাবেক ক্রিকেটার ও স্পিনার হরভজন সিং বলেছেন, ''নিউজিল্যান্ড স্পিন সহায়ক পিচের সুবিধা নিতে পারলো, আমরা পারলাম না।''
আত্মসমীক্ষার দাবি কুম্বলের
অনিল কুম্বলের বক্তব্য, ''ভারত আত্মসমীক্ষা করুক। প্রথম দিকের ব্যাটাররা দুই ঘণ্টাও খেলতে পারছেন না। এরকম ব্যর্থতা খুবই চিন্তার।''
রান দিয়েছেন অশ্বিন, জাদেজারা
ভারতের এখন সবচেয়ে অভিজ্ঞ স্পিনার অশ্বিন এবং আরেক অভিজ্ঞ স্পিনার জাদেজা নিউজিল্যান্ডের স্পিনারদের তুলনায় অনেক বেশি রান দিয়েছেন। এই সিরিজে অশ্বিন একেবারেই আশানুরূপ বল করতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের স্পিনাররা গতির হেরফের করেছেন। বল ঠিক জায়গায় রেখেছেন। ওয়াসিংটন সুন্দর ছাড়া ভারতের অন্য দুই স্পিকার এই কাজে ব্যর্থ হয়েছেন।