বিদায় মারাদোনা'র
১১ জুলাই ২০১২ফুটবল জগতের কিংবদন্তী পুরুষ৷ সাফল্য হোক বা ব্যর্থতা হোক, দিয়েগো মারাদোনা'কে ঘিরে আগ্রহ, উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা কম নয়৷ চরম ব্যর্থতার পরেও তিনি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন বার বার৷ এবার এলো আরেক ধাক্কা৷ দুবাই'এর আল ওয়াসাল ক্লাব কোচ হিসেবে মারাদোনা'কে বহিষ্কার করলো৷
২০১১ সালের মে মাসে আল ওয়াসাল ক্লাবের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছিলেন মারাদোনা৷ কিন্তু মঙ্গলবারই ক্লাবের কর্মকর্তারা তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিলেন৷ সঙ্গে বিদায় নিতে হবে সেই সব কর্মীদেরও, যারা ‘টেকনিক্যাল স্টাফ' হিসেবে মারাদোনার সঙ্গে কাজ করছিলেন৷
এই ঘটনা আসলে পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত নয়৷ জুন মাসেই ক্লাবের পরিচালন বোর্ডের সব সদস্য একযোগে পদত্যাগ করার পরই শোনা যাচ্ছিল মারাদোনা'কেও হয়তো বিদায় নিতে হবে৷ বিশেষ করে ক্লাবের সভাপতি ও মারাদোনা সমর্থক মারওয়ান বিন বায়াত'এর বিদায়ের ফলে পরিস্থিতি বদলে যায়৷ নতুন বোর্ড গঠন করার পর অবশ্য নতুন সভাপতি ড.মহম্মদ আহমেদ বিন ফায়াদ এক সংবাদপত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘মারাদোনা আল ওয়াসাল টিমের প্রধান কোট এবং আগামী মরসুমেও তিনি কাজ করবেন৷ আগামী মরসুমের কর্মসূচির উপর তাঁর সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব থাকবে৷ তাঁর পদের কোনো পরিবর্তন হবে না৷''
ঘটনা হলো, আল ওয়াসাল ক্লাব চলতি মরসুমে তেমন জয়ের মুখ দেখে নি৷ সংযুক্ত আরব আমিরাতের পেশাদারী ফুটবল লিগে ১২টি ক্লাবের মধ্যে আল ওয়াসাল ৬ থেকে তালিকার ৮ নম্বর অবস্থানে নেমে গেছে৷ আরও বেশ কিছু ব্যর্থতার মুখ দেখতে হয়েছে ক্লাব'কে৷ গোলকিপার হিসেবে মাজিদ নাসের নামের বিতর্কিত এক খেলোয়াড়কে বাছাইয়ের কারণেও মারাদোনার সমালোচনা করা হয়েছে৷
১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক হিসেবে মারাদোনা গোটা বিশ্বে তারকা হয়ে ওঠেন৷ ইটালি ও স্পেনে ক্লাব পর্যায়ের ফুটবলেও তিনি একাধিক চমকের সৃষ্টি করেছেন৷ কিন্তু কোচ হিসেবে মারাদানো মোটেই সাফল্য দেখাতে পারছেন না৷ ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে তিনি কিছুদিনের জন্য আর্জেন্টিনার দু'টি ক্লাবে কোচ হিসেবে কাজ করেছিলেন৷ ২০১০ সালে আর্জেন্টিনা দল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে হেরে যায়৷ জাতীয় কোচ হিসেবে তাঁর এই ব্যর্থতার কড়া সমালোচনা করা হয়েছিল সেদিন৷
এসবি / ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)