1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোচিং সেন্টার আজ অনেকের জন্য উপার্জনের পথ

৩ জানুয়ারি ২০১২

বাংলাদেশে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করা হবে নাকি সেগুলো এখনকার মতই চালু থাকবে – সে বিষয়ে আগামী ৪ঠা জানুয়ারি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷

https://p.dw.com/p/13czl
ছবি: picture alliance / landov

সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা স্কুল কলেজে পড়ানোর পাশাপাশি কোচিং সেন্টারে ক্লাস নিয়ে থাকেন৷ সেটা হল তাদের উপার্জনের আরেকটি পথ৷ এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র-ছাত্রী এসব কোচিং সেন্টারগুলোতে ক্লাস নিয়ে তাদের পড়াশোনার খরচ চালান৷ এর পাশাপাশি অনেক শিক্ষিত বেকার মানুষ নিজেকে এসব কোচিং সেন্টারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন৷ এর ফলে তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে সক্ষম হয়েছেন৷ তারা বেকারত্বের হাত থেকে নিজেদের মুক্ত করেছেন এসব কোচিং সেন্টারে ক্লাস নিয়ে৷ যদি সরকার কোচিং সেন্টার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে তার ফল কী দাঁড়াবে?

এ প্রসঙ্গে ইউনিভার্সিটি কোচিং সেন্টারের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক দেলোয়ার তার প্রতিক্রিয়ার কথা জানাতে গিয়ে বললেন,‘‘আমরা আসলে এই কোচিং সেন্টারকে ব্যবসা হিসেব দেখি না৷ স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের আমরা পড়াশোনায় সাহায্য করছি আমরা সেভাবেই বিষয়টিকে দেখি৷ তাই এ নিয়ে কোন মন্তব্য আমার মাথায় আসছে না৷''

দেলোয়ার হোসেন মনে করেন, কোচিং সেন্টারগুলো যদি বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে কয়েক হাজার ছেলে মেয়ে বেকার হবে৷ তিনি বলেন,‘‘গোটা বাংলাদেশের হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে পড়াশোনা শেষ করে কোথাও চাকরি না পেয়ে এই কোচিং সেন্টারগুলোতে যোগ দিয়েছিল, ক্লাস নিতো৷ যারা সরকারি চাকরি করে তাদের কথা আলাদা৷ আমার যারা বেকার আছি, আমরা কী করতে পারি? আমাদের জন্য সরকার এখন কী করবে? আমাদের ভবিষ্যৎ এই মুহূর্তে অনিশ্চিত৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য