1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কমছে না

২৫ নভেম্বর ২০১০

অবশেষে কোরিয়া উপদ্বীপের চলতি উত্তেজনা নিয়ে ভাল করে মুখ খুললো চীন৷ তবে এরপরও উত্তেজনা কমেনি, বরং বাড়ছে৷ এদিকে দুই কোরিয়ার সংঘর্ষের পর আজ পদত্যাগ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷

https://p.dw.com/p/QI2X
ছবি: AP

গত মঙ্গলবার দুই কোরিয়ার সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলা বিনিময়ের পর বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো প্রতিক্রিয়া জানালেও মোটামুটি চুপ ছিল চীন৷ এমনকি ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকেও চীনের এই নীরবতা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে৷ অবশেষে বৃহস্পতিবার চীন তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে৷ তবে চীনের প্রতিক্রিয়া অনেকটা দায়সারা গোছের৷ দুই কোরিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে চীন৷ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই উদ্বেগ জানানো হয়েছে৷ এছাড়া চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিন্তাও দুই কোরিয়াকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন, এমনটি বলা হয়েছে চীনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে৷ তবে একই সঙ্গে পীত সাগরে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র যে যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে সে ব্যাপারেও নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ৷

NO FLASH nordkoreanischen Beschuss der südkoreanischen Insel Yonpyong
গোলা বিনিময়ের দৃশ্যছবি: AP

কিন্তু দেখা যাচ্ছে চীনের এই প্রতিক্রিয়ার পরও কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা চট করে কমছে না৷ বরং দুই পক্ষই তাদের অবস্থান আরও শক্ত করেছে৷ সেটা তাদের বক্তব্য এবং সামরিক পদক্ষেপ দুই দিকেই৷ উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবার সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে আর যদি কোন ধরণের উস্কানি দেওয়া হয়ে থাকে সোউলের পক্ষ থেকে তাহলে তার জবাবে কড়া সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া ইতিমধ্যে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী পাঁচটি দ্বীপে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে৷ অর্থাৎ দুই পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে বেশ শক্ত অবস্থান নিয়েছে৷

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা ন্ত্রী কিম তায়ে ইয়ং বৃহস্পতিবার তাঁর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন৷ ইতিমধ্যে সেই পদত্যাগ পত্র গ্রহণও করেছেন প্রেসিডেন্ট লি মিউং বাক৷ জানা গেছে, গত মঙ্গলবারের ঘটনার পর বেশ সমালোচনা উঠেছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নিয়ে৷ কারণ উত্তর কোরিয়ার গোলা যখন দক্ষিণ কোরিয়ার ভূখন্ডে আঘাত হানে তখনও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেছেন, এমন সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করলেন তিনি৷ তবে এর আগে গত মে মাসেও পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন কিম তায়ে ইয়ং৷ সেসময় উত্তর কোরিয়ার গোলার আঘাতে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সাবমেরিন ডুবে যাওয়া ও নাবিকদের হতাহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা উঠেছিল৷ যদিও পিয়ং ইয়ং এখন পর্যন্ত সেই হামলার কথাও অস্বীকার করে আসছে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক