1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন অগ্রগতি

মার্টিন রিবে/এসবি২৯ ডিসেম্বর ২০১৪

ক্যানসারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অনেক অগ্রগতি হয়েছে বটে, কিন্তু রোগীর চিকিৎসা কতটা কার্যকর হবে, তার পূর্বাভাষ দেওয়া কঠিন৷ জার্মানির বিজ্ঞানীরা এমন এক কম্পিউটার মডেল তৈরি করছেন, যার সাহায্যে ওষুধের কার্যকারিতা বোঝা সম্ভব হবে৷

https://p.dw.com/p/1EB0l
Gerät Strahlentherapie Krankenhaus
ছবি: picture-alliance/dpa

ফুসফুসে ক্যানসার হলে চিকিৎসা হিসেবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কেমোথেরাপি প্রয়োগ করা হয়৷ তবে সেই প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত সব ওষুধ কতটা কার্যকর হবে, আগে থেকে তা বলা অত্যন্ত কঠিন৷ কারণ সব রোগীর ক্ষেত্রে একই প্রভাব দেখা যায় না৷

ভবিষ্যতে এই পূর্বাভাষ আরও উন্নত করে তোলার চেষ্টা চলছে৷ অধ্যাপক হাইকে ভালেস ও তাঁর গবেষকদল মানুষের ফুসফুসের টিউমার কোষ নিয়ে কাজ করছেন৷ সেগুলি শুকরের পাকস্থলী অথবা ছুঁচোর ফুসফুসে ‘কাল্টিভেট' করা হয়৷ গবেষকরা ছোট আকারে মানুষের ফুসফুসের নকল তৈরি করছেন, যার উচ্চতা মাত্র এক সেন্টিমিটার৷ শূকরের পাকস্থলির একটা টুকরো থেকে তার সব নিজস্ব কোষ দূর করা হয়৷ সেটিকে কাঠামো হিসেবে ব্যবহার করে তাতে মানুষের টিউমার ও ফুসফুসের কোষ বসানো হয়৷

এটি ফুসফুসের এক সহজ থ্রিডি মডেল, যার মাধ্যমে ওষুধের প্রভাব ‘সিমুলেট' বা নকল করা হয়৷ ভ্যুরৎসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের অধ্যাপক হাইকে ভালেস বলেন, ‘‘এই পরীক্ষা ব্যবস্থার বড় সুবিধা হলো, আমরা জন্তু-জানোয়ার নয়, মানুষের কোষ নিয়ে কাজ করছি৷ সুস্থ ও অসুস্থ কোষ একসঙ্গে কাল্টিভেট করতে পারি৷ ওষুধ সুস্থ কোষের কতটা ক্ষতি করতে পারে এবং কত দক্ষভাবে অসুস্থ কোষ মেরে ফেলতে পারে, তা আন্দাজ করতে পারি৷''

এই প্রক্রিয়া অবশ্য সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারে না৷ ছুঁচোর ফুসফুসের মডেল আরও জটিল প্রশ্নের জবাব দিতে পারে৷ এ ক্ষেত্রেও ছুঁচোর নিজস্ব কোষ সরিয়ে মানুষের টিউমার ও ফুসফুসের কোষ লাগানো হয়৷

একটি পাম্প নিয়মিত উচ্চ ও নিম্ন চাপ সৃষ্টি করে ও ফুসফুসে বাতাস ঢুকিয়ে দেয়৷ অর্থাৎ আসল ফুসফুসেরই প্রায় নিখুঁত নকল করা হয়৷ রক্তবাহী শিরা ফুসফুসে পুষ্টি জোগায়৷ মানুষের শরীরের মতোই চলে সবকিছু৷

কৃত্রিম ফুসফুসের জন্য টিউমার কোষ আসে রোগীদের কাছ থেকে৷ অর্থাৎ কাগজে-কলমে প্রত্যেক রোগীর জন্যই ফুসফুসের আলাদা মডেল তৈরি করা সম্ভব৷ সেই অনুযায়ী চিকিৎসার রূপরেখাও তৈরি করা সম্ভব৷ অধ্যাপক ভালেস বলেন, ‘‘বড় আকারে অসংখ্য মানুষের জন্য এই প্রক্রিয়া সৃষ্টি করা সম্ভব নয়৷ এটি অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ৷ তাই পরের ধাপে এই কোষগুলি আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে৷ তারপর টিউমার রোগীদের একাধিক গ্রুপে ভাগ করতে হবে৷ ভবিষ্যতে হয়ত ১০ট়ি গ্রুপ সৃষ্টি হবে, যার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া যাবে৷''

ভবিষ্যতে হয়ত এমন পূর্বাভাষ শুধু কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমেই সম্ভব হবে৷ পরীক্ষার সময় কোনো একটি ওষুধ টিউমার কোষগুলি মেরে ফলতে পারলে গবষকরা সংশ্লিষ্ট মেটাবলিজম প্রক্রিয়া ফুটিয়ে তুলে সেটি কম্পিউটার মডেলে ভরে দিতে পারবেন৷ অধ্যাপক ভালেস বলেন, ‘‘আমরা টিউমার টেস্ট সিস্টেম থেকে তথ্য নিয়ে কম্পিউটার মডেলে ভরে দেই৷ দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে কম্পিউটার মডেল তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের রোগীদের জন্য পূর্বাভাষ দেওয়া যাবে৷ কোনো ওষুধ কাজ করবে কিনা, বায়োলজিকাল পরীক্ষা ছাড়াই তা বলা যাবে৷''

এই মিনি-ফুসফুসের মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে বিফল বা অকার্যকর কেমোথেরাপি এড়ানো সম্ভব হবে৷ বিজ্ঞানীদের আশা, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই ফুসফুসের প্রথম মডেল কাজে লাগিয়ে বাস্তবে রোগীদের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান