ক্যামেরার চোখে ইসরায়েল দেখা

চার দশকেরও বেশি সময় ধরে শিশু থেকে বিভিন্ন বয়সের মানুষ নিয়ে কাজ করছেন ওয়েন্ডি এওয়াল্ড৷যুক্তরাষ্ট্রের এই ফটোগ্রাফারের কাজের ধরনটা খুব সরল৷ যার ছবি তুলবেন তার জীবনের গল্প, স্বপ্নের কথা আগে শুনে নেন৷ তারপর নিজের ক্যামেরাটা তুলে দেন তার হাতে৷ সেই ব্যক্তি নিজেই তখন ছবি তোলেন৷ পরে সেখান থেকে বাছাই করা ছবিকে শিল্পের উচ্চতায় তুলে ধরার চেষ্টা করেন ওয়েন্ডি এওয়াল্ড৷

২০০৯ সালে জেরুসালেমে তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্যালেস হোটেল৷ হোটেলটি তখন ভেঙে ফেলা হচ্ছে৷ একদিন সেই পথ দিয়ে যেতে যেতেই ফটোগ্রাফার ফ্রেডেরিক ব্রেনারের চোখে পড়ে দৃশ্যটি৷ জেরুসালেমে এখন প্যালেস হোটেলের জায়গায় রয়েছে ওয়ালডর্ফ অ্যাস্টোরিয়া নামের একটি ফাইভ স্টার হোটেল৷

ছবিটি গাজায় বসবাসরত এক ইসরায়েলি পরিবারের৷ ২০০৯ সালে ‘দ্য প্লেস’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় ইসরায়েলি সেটলারদের নিয়ে কাজ করার সময় এ ছবিটি তুলেছিলেন নিক ওয়াপলিংটন৷ ২০১১ সালে ভেনিস বিয়েনালেতে দেখানো হয় এই ছবি৷

ফরাসি ফটোগ্রাফার পেরেস কাজ করেছেন মুলত পুর্ব জেরুসালেম এলাকায়৷ অনেক ফিলিস্তিনি রয়েছেন সেখানে৷

জোসেফ কুডেলকা মূলত অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার৷ ছবি তোলা তার নেশা৷ ম্যাগনাম এজেন্সির হয়েও কাজ করেছেন তিনি৷ বেথলেহেমের ছবিটি তিনি তুলেছেন বিমান থেকে৷

রোজালিন্ড ফক্স সলোমনের বয়স এখন ৮৯ বছর৷ প্রকল্পের সবচেয়ে বেশি বয়সি যুক্তরাষ্ট্রের এই ফটোগ্রাফার ২০১১ সালে পাঁচ মাস ইসরায়েলে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলেছেন৷ তার ছবিতে কখনো উঠে আসে জনজীবনের আনন্দ, কখনোবা বিষন্নতা৷

ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমিতে বেদুইনদের এই পরিত্যক্ত বসতিগুলোর ছবি তুলেছেন ফজল শেখ৷