উদ্বাস্তু সরানো শুরু
২৪ অক্টোবর ২০১৬সোমবার সকাল থেকেই উদ্বাস্তুদের জিজ্ঞাসাবাদ ও নাম লেখানোর কাজ চলছে৷ প্রথম বাসটি ৫০ জন সুদানি উদ্বাস্তুকে নিয়ে মধ্য ফ্রান্সের বার্গান্ডি এলাকার দিকে যাত্রা শুরু করেছে বলে খবর দিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি৷
রবিবার রাত্রে কয়েক দল উদ্বাস্তু পুলিশের দিকে পাথর ছোঁড়ে ও শৌচালয়গুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে৷
সকালে কিন্তু শত শত উদ্বাস্তুকে তাদের ব্যাগ-সুটকেসসহ ক্যালের বাইরে একটি হ্যাঙ্গারের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়৷
উদ্বাস্তুদের নাম লিখিয়ে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর চারটি গোষ্ঠীতে ভাগ করা হচ্ছে: পরিবার, একক পুরুষ, একক অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং অন্যান্য অসহায় ব্যক্তি৷ তারপর তাদের বাসে করে ফ্রান্স জুড়ে প্রায় ৩০০টি শরণার্থী আবাসে নিয়ে যাওয়া হবে৷ সেখানে তারা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনপত্র দাখিল করতে পারবে৷
যেসব অপ্রাপ্তবয়স্ক একা ক্যালের ‘জঙ্গলে' ছিল, তাদের আপাতত সেখানে থাকতে দেওয়া হবে: সেজন্য বসবাসের উপযোগী কনটেইনার স্থাপন করা হয়েছে৷ গত সপ্তাহে যেমন প্রায় ২০০ শিশু উদ্বাস্তুকে ব্রিটেনে যাওয়ার বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়, এদের ক্ষেত্রেও তা ঘটবে কিনা, তা জানা যায়নি৷
ক্যালের ‘জঙ্গলের' প্রায় ৬,৫০০ বাসিন্দাকে স্থানান্তরণ ও অননুমোদিত শিবিরটিকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার অভিযানে ১,২০০-র বেশি পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে৷
ক্যালের ‘জঙ্গলের' ইতিহাস চলে আসছে নব্বইয়ের দশক থেকে৷ সে আমলে যেসব উদ্বাস্তু ব্রিটেনে যাবার আশায় খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছিলেন, তাদের জন্য রেড ক্রস একটি ক্যাম্প খোলে৷ ২০০২ সালে সেই ক্যাম্প বন্ধ করে দেওয়া হয় ব্রিটেনের চাপে৷ এরপর শত শত মূলত আফগান উদ্বাস্তু মিলে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প সৃষ্টি করে যে পথ ধরে ব্রিটেনমুখী লরিগুলি ক্যালে বন্দরের দিকে চলেছে, ঠিক সেই রাস্তার পাশে৷ ২০০৯ সালে তৎকালীন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির নির্দেশে তা একবার ভেঙেও দেওয়া হয়৷ কিন্তু ২০১৫ সালে আবার সেই ‘জঙ্গল’ গজিয়ে ওঠে৷
এসি/এসিবি (এএফপি, রয়াটার্স, এপি)