1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

ক্রাইমিয়ায় সেনাঘাঁটির কাছে বিস্ফোরণ

১০ আগস্ট ২০২২

ইউক্রেন আক্রমণের কথা অস্বীকার করেছে। ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার তেল সরবরাহে কিয়েভের হস্তক্ষেপ।

https://p.dw.com/p/4FLT6
ক্রাইমিয়া
ছবি: REUTERS

রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রাইমিয়ায় মঙ্গলবার বিস্ফোরণ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, একটি নয়, বিস্ফোরণ হয়েছে একাধিক। ক্রাইমিয়ায় রাশিয়ার একটি সেনাঘাঁটির কাছে বিস্ফোরণটি হয়েছে বলে জানা গেছে। কোনো কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য, সেনাঘাঁটিতেই বিস্ফোরণটি হয়েছে। রাশিয়া জানিয়েছে, বিস্ফোরণে এখনো পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরো বেশ কয়েকজন।

ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা এই বিস্ফোরণের জন্য দায়ী নয়। মঙ্গলবার রাতে দৈনিক ভিডিও বক্তৃতায় দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ক্রাইমিয়ায় বিস্ফোরণের কথা তিনি শুনেছেন কিন্তু এর সঙ্গে ইউক্রেনের কোনো যোগাযোগ নেই।

রাশিয়া জানিয়েছে, যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে তেল রাখা ছিল। তেল থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিন অবশ্য জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ক্রাইমিয়া ইউক্রেনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ক্রাইমিয়ার পুনর্দখল নেওয়াই হবে ইউক্রেনের মূল উদ্দেশ্য। রাশিয়া অবশ্য এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। বস্তুত, ২০১৪ সালে যুদ্ধ করে ক্রাইমিয়ার দখল নিয়েছিল রাশিয়া। বিশ্বের একাধিক দেশ তার নিন্দা করেছিল। অধিকাংশ দেশই ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকার করেনি। কিন্তু ক্রাইমিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা রাশিয়ার আনুগত্য স্বীকার করেছে।

মানবাধিকার আদালতে লাটভিয়ার আবেদন

ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে ইউক্রেনের পক্ষে মামলার অনুরোধ জানিয়েছে লাটভিয়া। এই প্রথম ইউক্রেন ছাড়া অন্য কোনো তৃতীয় দেশ এই মামলায় অংশ নিতে চাইল। লাটভিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তাদের দেশে বহু মানুষ পালিয়ে গেছেন। তাদের বয়ানে উঠে এসেছে যুদ্ধ এবং নির্যাতনের ভয়াবহ ছবি। তারই ভিত্তিতে লাটভিয়ার এই আবেদন।

ইউক্রেন অনেক আগেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছিল। আন্তর্জাতিক আদালতে তা নিয়ে মামলাও চলছে।

তেল সরবরাহে বাধা

ইউক্রেনেরভিতর দিয়ে রাশিয়ার গ্যাস এবং তেলের পাইপ গেছে। এবার সেই তেল সরবরাহে বাধা দিতে শুরু করল জেলেনস্কির সরকার। তাদের বক্তব্য, রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা থাকার করাণে তেল সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে।

ইউক্রেনের এই পদক্ষেপে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক এবং স্লোভাকিয়া। এই তিন দেশেই ওই পাইপলাইনের সাহায্যে তেল যেত।

রাশিয়ার দাবি, হিসেবের সমস্যা হওয়াতেই ইউক্রেন রাতারাতি তেল বন্ধের নির্দেশ দেয়।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)