1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্রেডিটকার্ড জালিয়াতির দায়িত্ব কেউ নেবে না!‌

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

কলকাতা থেকে বার্লিনে বই পাঠাতে গিয়ে জালিয়াতের খপ্পরে পড়েছেন বাংলাদেশি কবি দাউদ হায়দার৷ খুইয়েছেন দুই লক্ষাধিক টাকা৷ সেই টাকা ফেরতের দায়িত্ব নেবে কে?‌

https://p.dw.com/p/3XtOZ
ফাইল ছবিছবি: DW/P. Samanta

বার্লিনপ্রবাসী বাংলাদেশি কবি দাউদ হায়দার কলকাতা বইমেলায় এসেছিলেন নিজের নতুন বইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ উপলক্ষে৷ যেহেতু বইমেলা, অনেক বই নিজেও কিনেছেন, উপহারও পেয়েছেন৷ সেই বই নিজের বার্লিনের বাসার ঠিকানায় পাঠাতে গিয়ে খোঁজ করেছিলেন একটি নির্ভরযোগ্য কুরিয়ার সংস্থার৷ অনলাইন থেকে এক এজেন্টের ফোন নম্বর জোগাড় করে ফোন করেছিলেন৷ পড়লেন পাক্কা ফেরেব্বাজের খপ্পরে৷ মাত্র পাঁচ টাকায় রেজিস্ট্রেশন করানোর অছিলায় দাউদ হায়দারের কলকাতার বন্ধুর ক্রেডিট কার্ড নম্বর হাতিয়ে নেয় তারা৷ তারপর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই হাতিয়ে নেয় দুই লক্ষেরও বেশি টাকা৷

দুই লক্ষেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে: দাউদ হায়দার

সাধারণভাবে ক্রেডিট কার্ড মারফত যে কোনো লেনদেনের ক্ষেত্রে এ ধরনের জালিয়াতি আটকাতে বিমা করা থাকে৷ তা ছাড়া যে ব্যাঙ্কের কার্ড, তারা সহজেই টাকা পাচারের যে বৈদ্যুতিন পথ, সেই পথ ধরে গিয়ে জালিয়াতের ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি চিহ্নিত করতে পারে এবং চলে যাওয়া টাকা ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে৷ ডেবিট কার্ডের ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া ততটা সহজসাধ্য নয়৷ কিন্তু এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক যথেষ্ট ভরসা দিতে পারছে না বলে দাউদ হায়দার জানিয়েছেন৷ জালিয়াতি ঘটার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাংককে জানানো হলেও তারা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে উত্তর দিচ্ছে, সেটাও হিন্দি ভাষায়৷ ফলে বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে৷

বরং কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারের যে সাইবার ক্রাইম শাখা, তারা সাহায্যে তৎপর৷ যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সঙ্গে সঙ্গেই একটি নম্বর দিলেন, যা বিশেষভাবে ব্যাংক জালিয়াতির সুরাহার জন্য নির্দিষ্ট হেল্পলাইন৷ দাউদ হায়দার বন্ধুর বাড়ি থেকেও স্থানীয় থানায় এবং সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ জানানো হয় ঘটনার পরেই৷ কিন্তু হেল্পলাইন নম্বর থাকলেও, কতটা হেল্প তারা আদৌ করে উঠতে পারবেন, সে ব্যাপারে খুব একটা আত্মবিশ্বাস তারা দেখাতে পারলেন না৷

সোমবার দুপুরের বিমানে কলকাতা ছেড়ে দিল্লি চলে গেছেন দাউদ হায়দার৷ এরপর সোজা বার্লিনের বিমান ধরতে হবে তাকে৷ তিনি ভারতে আর থাকছেন না, এই কারণেই কি জালিয়াতির সুরাহায় সব পক্ষের গড়িমসি?‌ যদিও তাঁর বন্ধু, যিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে দিয়েছেন, তিনি কলকাতায় থাকবেন এবং বিষয়টির পিছনে লেগে থাকতে পারবেন৷ বেহাত হওয়া টাকা ফেরত পাবেন কিনা, সেটাই এখন দেখার৷