কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের পক্ষে প্রতিবাদ
২৪ অক্টোবর ২০১৮জার্মানির কোলন শহরের কাছে বার্ঘাইমে এই প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকরা৷ ‘‘ভালো কাজ ছাড়া ভালো পরিবেশ হয় না! আমরা আমাদের কর্মের সুরক্ষা চাই৷'' এই ব্যানার নিয়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলোর আয়োজনে এই সমাবেশ হয়৷
ট্রেড ইউনিয়ন আইজি বিসিই'র প্রেসিডেন্ট মিখাইল ফাসিলিয়াডিস নিজেই গত গ্রীষ্ম থেকে কয়লা কমিশনের সদস্য ছিলেন৷ তিনি অভিযোগ করেন, কমিশন হামবাখ বন রক্ষায় আন্দোলনরত পরিবেশবাদীদের প্রতি যতটা সংবেদনশীলতা দেখিয়েছে ততটা এই খনি শ্রমিকদের প্রতি দেখায়নি৷
স্থানীয় একটি পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘বন সুরক্ষার আন্দোলনকারীদের প্রতি সর্বোচ্চ সহমর্মিতা দেখানো হয়েছে৷ কিন্তু শ্রমিকদের সুরক্ষার প্রতি অবহেলা করা হয়েছে৷''
তিনি বলেন, ‘‘জার্মানিতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে প্রায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত৷''
আগামী কয়েক সপ্তাহে কমিশন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো কীভাবে আস্তে আস্তে বন্ধ করা হবে তার পরিকল্পনা তৈরি করবে৷ এতে শুধু খনি শ্রমিক নন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতরাও চাকরি হারাবেন৷
বন্ধ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পুনর্গঠনে এ বছরের শেষ নাগাদ প্রায় দেড় হাজার কোটি ইউরো খরচের হিসেব দেয়া হয়েছে৷
আইজি বিসিই'র একজন সদস্য ফ্রিটৎস টাপফর্ন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের কাছে আমাদের কর্মসংস্থানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ আমরা এটা নিয়েই চিন্তিত৷ জ্বালানি কোত্থেকে আসছে, এটা আমাদের চিন্তার বিষয় নয়৷''
এদিকে, বার্ঘাইমে এদিন পরিবেশবাদীরাও উপস্থিত হয়েছিলেন৷ সম্প্রতি হামবাখ বন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রতিবাদে এবং জার্মানির মাইনিং কোম্পানি আরডাব্লিউই'র সেখানে তাদের খনির পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা বন্ধে মাসব্যাপী আন্দোলন করেন তাঁরা৷
‘‘আমরা আইজি বিসিই'র বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছি না৷ আমরা এখানে এসেছি এটা বলতে যে, কয়লা পোড়ানো বন্ধ করতে হবে এবং পরিবেশ বাঁচাতে হবে,'' ডিডাব্লিউকে বলেন ওলগা পেরোফ নামের এক পরিবেশবাদী৷
‘‘আমরা শ্রমিকদের শঙ্কা বুঝতে পারি৷ কিন্তু কয়লা বন্ধ হতেই হবে৷ ১৯৯০ সালে কয়লাভিত্তিক এক লাখ চাকুরি ছিল৷ এখন বাকি আছে মাত্র ২০ হাজার৷ সুতরাং সামাজিকভাবেই আমাদের এটা ত্যাগ করতে হবে,'' যোগ করেন তিনি৷
জেডএ/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)