খাদ্য, ওষুধের সংকট আর আতঙ্কের শহর কিয়েভ
কয়েকদিন আগেও ইউরোপের অন্য দেশগুলোর রাজধানীর মতোই শান্তিময় ব্যস্ততার শহর ছিল কিয়েভ৷ রাশিয়ার হামলা শুরুর পর বদলে গেছে সব৷ ইউক্রেনের রাজধানীর মানুষের এখন পর্যাপ্ত খাবার, ওষুধ নেই, নেই জীবনের নিরাপত্তা...
সার্বক্ষণিক আতঙ্ক
রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হামলার প্রধান লক্ষ্য রাজধানী কিয়েভ৷ হঠাৎ হঠাৎ তাই বোমার আঘাতে কেঁপে উঠছে কিয়েভ৷ ওপরের ছবিতে তেমনই এক হামলার পর জায়গাটি ঘুরে দেখছেন ইউক্রেনের এক সেনাসদস্য৷
রাজধানীবাসীর দুর্বিষহ জীবন
১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি পুরুষদের যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য দেশে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইউক্রেন সরকার৷ বাকিদের অনেকেই কিয়েভ ছেড়েছেন৷ যারা এখনো আছেন, তারা পড়ছেন নানা সমস্যায়৷ খাবার এবং ওষুধও শেষ হয়ে যাওয়ায় সুপারমার্কেট, মুদি দোকান, ফার্মেসি কিংবা এটিএম বুথের সামনে ভিড় করছেন তারা৷ সোমবার সুপারমার্কেটের সামনে অনেক মানুষকে টানা দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন ডয়চে ভেলের আলেক্সান্দার সাভিৎস্কি৷
সাবোটাজের আশঙ্কায় কড়া নিরাপত্তা
রাশিয়ার কোনো সমর্থক হঠাৎ হামলা চালাতে পারে- এই আশঙ্কায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে কিয়েভে৷ ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ৷ সব গাড়িতে চলছে ব্যাপক তল্লাশি৷
হাসপাতালেও আতঙ্ক
রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় হাসপাতালের রোগীদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ জায়গায়৷ বেশিরভাগ হাসপাতালে রোগীদের ঠাঁই হয়েছে বেসমেন্টে৷ ওপরের ছবিতে ওখমাদেত শিশু হাসপাতালে সন্তানকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছেন এক মা৷
বেসমেন্টেই চিকিৎসাসেবা
ওখমাদেত শিশু হাসপাতালের বেসমেন্টে রোগীদের অসুস্থতাজনিত সব তথ্য লিখে নিচ্ছেন এক নার্স৷
হাসপাতাল যখন বিকল্প আশ্রয়কেন্দ্র
রাশিয়ার বোমা হামলা থেকে বাঁচতে রোগীদের পরিবারের সদস্যরাও আশ্রয় নিয়েছেন ওখমাদেত শিশু হাসপাতালের বেসমেন্টে৷
নিরুপায় অবস্থান
যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য শুধু ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি পুরুষদেরই দেশ না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইউক্রেন সরকার৷ শিশু অসুস্থ, তাই নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অন্য শহর বা দেশে যেতে পারেননি ছবির এই মা-শিশুরা৷
রেল স্টেশনে আশ্রয়
রাশিয়ার হামলার আঘাত থেকে বাঁচতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন ট্রেন স্টেশনে৷
ট্রেনের অপেক্ষায় হাজারো মানুষ
কিয়েভ ট্রেন স্টেশনের এটি এখন নিয়মিত দৃশ্য৷ পোল্যান্ডগামী ট্রেনের অপেক্ষায় হাজারো মানুষ৷
হেঁটে অন্য দেশে...
রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে প্রায় সব বিদেশিই ইউক্রেনের পাশের দেশগুলোতে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন৷ অনেকে হেঁটেই পাড়ি দিয়েছেন দীর্ঘ পথ৷ ওপরের ছবিতে কিয়েভ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ভারতীয় শিক্ষার্থীর হেঁটে হাঙ্গেরিতে পৌঁছানোর মুহূর্ত৷