জলবায়ু পরিবর্তন
৫ জুন ২০১২গতমাসের শেষের দিকে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়৷ নাম ‘‘ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড পভার্টি ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক: কি চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড পলিসি ইস্যুস''৷
এডিবি'র কর্মকর্তারা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি এমন বিভিন্ন কারণ নিয়ে গবেষণা করেছেন৷ এর মাধ্যমে তারা বের করার চেষ্টা করেছেন যে, কোন কারণটি আসলে এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী৷ উত্তরে তারা জানতে পেরেছেন, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হলো জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব৷ এছাড়া, বাণিজ্যনীতি, উন্নয়ন, খাদ্য ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হতে পারে বলে মনে করে সংস্থাটি৷
এডিবি'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ধরণের সমস্যা হয় সেটা অল্প সময়ে সমাধান করা কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার৷ এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা৷
এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী ১০০ বছরে এশিয়া অঞ্চলে খাদ্য উৎপাদন কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এডিবি৷ বিশেষ করে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ধান উৎপাদন প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে মনে করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক৷
এডিবি'র এই আশঙ্কার বাস্তব একটা উদাহরণ হতে পারে শ্রীলঙ্কা৷ সেখানে গত বছর বন্যা ও খরার কারণে ধান উৎপাদন প্রায় ২০ শতাংশ কমে যায়৷ এর ফলে আরেকটা যে সমস্যা হয়েছে সেটা হচ্ছে, নিম্নবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় সন্তানেরা লেখাপড়া ছেড়ে দিচ্ছে৷ ব্যাপারটা এরকম - ঠিকমত ফসল উৎপাদন করতে না পারায় পরিবারের খরচ চালাতে বাবা-মা'র পাশাপাশি বড় সন্তানকেও বিভিন্ন কাজে নেমে পড়তে হচ্ছে৷ ফলে সেসময়টা তারা স্কুলে যেতে পারছেনা৷
শ্রীলঙ্কার জলবায়ু বিশেষজ্ঞ রিজা ইয়াহিয়া বলছেন, খাদ্য নিরাপত্তা আর বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, এই দুটি বিষয় নিয়ে তারা বেশ উদ্বিগ্ন৷ তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার কৃষিজমিতে অধিক পরিমাণে সার ব্যবহার করায় সেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেছে৷
দেশটির আরেক বিশেষজ্ঞের মতে, পানি ব্যবস্থাপনাও শ্রীলঙ্কার কৃষিখাতের একটি বড় সমস্যা৷ সেখানকার কৃষকরা এখনও পানির জন্য সেচ বিভাগের উপর নির্ভর করে থাকে৷ কৃষকরা এখনও মনে করে না যে সেচের জন্য তাদের নিজেদেরই পানির ব্যবস্থা করা উচিত৷
প্রতিবেদন: আইপিএস / জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন