খাদ্যে বিষ, প্রশাসন উদাসীন
২১ এপ্রিল ২০১৪রানা সোহেল সামহয়্যার ইন ব্লগে লিখেছেন,‘‘রবিবার অনলাইনে দেখছিলাম ‘তরমুজ খেয়ে ২ শিশু নিহত, ২০ জন হাসপাতালে'৷ আজ কিন্তু কোনো সংবাদপত্রে খবরটা চোখে পড়লো না৷ গরিবের ছেলে-মেয়ে, তারা ভালো গান গায় না, ভালো ছবি তোলে না, ভালো লেখে না৷ আবার মারা গেছে কিনা তরমুজ খেয়ে! তরমুজে বিষাক্ত কিছু মেশানো, এটা নিয়ে লেখার কি আছে? এটাই তো স্বাভাবিক!''
তিনি লিখেছেন, ‘‘আমরা তো সারাদিনই বিষ মেশানো খাবার খাই৷ খাবারে ভেজাল নিয়ে লেখার কিছু নেই, গরিব মানুষ মারা গেলেও লেখার কিছু নেই৷ সব কিছু নিয়ে কথা বললে, আমাদের পরে থাকা মুখোশটা বড় নোংরা হয়ে যায়!''
ফেসবুকে আশরাফ-উল-আলম লিখেছেন,‘‘ফর্মালিন, কার্বাইড, ইউরিয়া সার, হাইড্রোজসহ নানা ক্ষতিকর ও রাসায়নিক পদার্থ খাদ্যে ব্যবহার বন্ধ করা যাচ্ছে না৷ বছরের পর বছর ধরে খাদ্যে ভেজাল দেওয়াসহ বিষ মেশানো চলছে৷ এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর আসে৷ কালেভদ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানও চলে৷ কিন্তু অপরাধীরা শেষ পর্যন্ত ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়৷''
এর কারণ হিসেবে আইন প্রয়োগে উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন তিনি৷ আশরাফ লিখেছেন, ‘‘খাদ্যে ভেজাল মেশানোর অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে দেশের প্রচলিত আইনেই৷ অথচ অজ্ঞাত কারণে ওই আইনটি প্রয়োগ করা হচ্ছে না৷ খাদ্যে ভেজালকারীদের আইনে নির্ধারিত সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার কোনো নজির এ দেশে নেই৷ অথচ উন্নত বিশ্বে বা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর অপরাধে যথোপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হচ্ছে৷ ওই সব দেশে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর হার কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে৷ খাদ্যে ভেজাল মেশানোর অপরাধের শাস্তি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যাবজ্জীবন, চীনে মৃত্যুদণ্ড, যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড৷ এ সব দেশে বর্তমানে কঠোর আইনেই ভেজাল মেশানোর অপরাধের বিচার হচ্ছে৷''
এ.আর দিপু হাসান লিখেছেন, ‘‘ঢাকা শহরের বাজারে গেলে দেখা যায় কত টাটকা সবজি! মনে হয় এই মাত্র তুলে নিয়ে আসছে৷
আসলে কি তাই? কখনোই না, এই কাঁচা-বাজারের সবজি কমপক্ষে ২-৩ দিন আগে তোলা৷ আর এইগুলাই বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে৷ গ্রামে দেখেছি সবজি একদিন রেখে দিলেই কি অবস্থা হয়৷ আর ঢাকাতে ৩-৪ দিন পর কাঁচামাল বিক্রি হচ্ছে, তাও একদম টাটকা৷ তাছাড়া ঢাকা শহরের মাছের কথা আর কি বলবো, সব মাছেই আজকাল ফরমালিন দেয়া হয়৷''
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ