1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খালি হাতে ঘরে ফিরলেন ম্যার্কেল

২৫ জুন ২০১৮

ইউরোপীয় স্তরে শরণার্থী সংকটের সমাধানসূত্র খুঁজতে তড়িঘড়ি এক শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ রবিবার ব্রাসেলসে ১৬ দেশের শীর্ষ নেতারা সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কোনো বোঝাপড়ায় আসতে পারলেন না৷

https://p.dw.com/p/30Cvb
Belgien Brüssel - Angela Merkel und Jean-Claude Juncker
ছবি: Reuters/Y. Herman

ইউরোপীয় স্তরে শরণার্থী সংকটের সমাধানসূত্র খুঁজতে তড়িঘড়ি কিছু দেশের এক শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ রবিবার ব্রাসেলসে ১৬ দেশের শীর্ষ নেতারা সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কোনো বোঝাপড়ায় আসতে পারলেন না৷

ইউরোপে শরণার্থী সংকটকে ঘিরে রাজনৈতিক সংকট চরমে উঠেছে৷ অনেক দেশের সরকার কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে৷ জনমতও উদার নীতির বদলে শরণার্থীদের প্রবেশ আরও কঠিন করে তোলার পক্ষে৷ বিশেষ চাপের মুখে পড়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ জোটসঙ্গী বাভেরিয়ার সিএসইউ দল এই প্রশ্নে তাঁর বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে৷ চলতি মাসেই ইউরোপীয় স্তরে সমাধানসূত্র খুঁজে না পেলে তারা ম্যার্কেলকে উপেক্ষা করে জার্মান সীমান্ত থেকে সেই সব শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর হুমকি দিয়েছে, যারা অন্য কোনো ইইউ দেশে নিজেদের নথিভুক্ত করেছে৷ অর্থাৎ ম্যার্কেল বিফল হলে চ্যান্সেলর হিসেবে তাঁর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে৷ সেই সঙ্গে জার্মানির রক্ষণশীল ইউনিয়ন শিবিরে অভূতপূর্ব ভাঙনের জের ধরে দেশের রাজনৈতিক সমীকরণ আমূল বদলে যেতে পারে৷ গোটা ইউরোপে তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷

রবিবার ব্রাসেলসে কয়েকটি ইইউ দেশের ‘মিনি' শীর্ষ বৈঠকে ম্যার্কেল সেই সমাধানসূত্র সম্পর্কে ঐকমত্য অর্জন করতে পারেননি৷ ১৬টি দেশের শীর্ষ নেতা শরণার্থী সংকটের সার্বিক ইউরোপীয় সমাধানসূত্র সম্পর্কে সদিচ্ছা প্রকাশ করলেও এই মুহূর্তে কোনো স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি৷ ম্যার্কেল নিজেও এত দ্রুত অগ্রগতির আশা করেননি৷ বৃহস্পতিবার ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগেই, অর্থাৎ আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করার চেষ্টা করতে চান তিনি৷ এমনকি শীর্ষ সম্মেলনেও চূড়ান্ত বোঝাপড়ার বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নি তিনি৷ তার বদলে দ্বিপাক্ষিক অথবা ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করে আপাতত নিজের ঘর সামলানোর চেষ্টা করতে চান ম্যার্কেল৷

ইউরোপের রাজনৈতিক আঙিনার বর্তমান কঠিন বাস্তব সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন ম্যার্কেল৷ তাই তিনি বলেন, কোনো সমাধানসূত্রের জন্য ইইউ-র ২৮টি সদস্য দেশের সম্মতির জন্য সব সময়ে অপেক্ষা করা সম্ভব নয়৷ তবে একই সঙ্গে যে সব দেশকে শরণার্থীদের ঢল সামলাতে হচ্ছে, তাদের প্রতি সংহতির উপর জোর দিয়েছেন তিনি৷ তারা একাই সমস্যার সমাধান করবে, এমনটা হতে পারে না৷ অন্যদিকে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যে শরণার্থীরা পছন্দমতো ইইউ দেশে আশ্রয়ের আবেদন করতে পারবে না৷ উল্লেখ্য, এতকাল ডাবলিন চুক্তি অনুযায়ী যে দেশে শরণার্থীরা প্রথম পা রাখতেন, সেখানেই তাদের নথিভুক্ত করে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে৷ ইটালির নতুন সরকার সেই ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দাবি করছে৷ গত সপ্তাহে তারা প্রায় ৬০০ শরণার্থীসহ একটি জাহাজ ইটালির ভূখণ্ডে নোঙর করতে দেয় নি৷

ইটালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপে কন্টে শরণার্থী সংকট সমাধানে ১০ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন৷ তার আওতায় এমনকি ইউরোপে শরণার্থীদের আগমন রুখতে পদক্ষেপের উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গেছে৷ জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংগঠনের সহায়তায় ইইউ-র বাইরেই শরণার্থী সুরক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে৷ মাল্টাও কড়া পদক্ষেপের দাবি করেছে৷ তবে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস বলেন, এমন সব প্রস্তাব আগেও পেশ করা হয়েছে৷

এমন প্রেক্ষাপটে ম্যার্কেল কী করবেন? ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের পর আগামী সপ্তাহান্তে তিনি দলীয় নেতাদের বৈঠক ডাকবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ তারপর সোমবার সিএসইউ নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার-এর সঙ্গে বৈঠকে তিনি তাঁর অর্জন সম্পর্কে জানাবেন৷ সেহোফার সেই প্রস্তাব মেনে না নিলে ইউনিয়ন শিবিরে ভাঙন অনিবার্য – এমনটাই আপাতত ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ অন্যদিকে বাভেরিয়ার সিএসইউ দল শেষ পর্যন্ত এত বড় ঝুঁকি নেবে কিনা, চলতি সপ্তাহেই তাদের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য