খালেদার বিরুদ্ধে মামলা, তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
৮ আগস্ট ২০১১আজ বিকেলে তেজগাঁ থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারি পরিচালক হারুন উর রশীদ৷ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্টের নামে জমি কেনার সময়, জমির মালিককে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা দামের অতিরিক্ত অর্থ দেয়া হয়৷ এই অর্থের কোন উৎস দেখাতে পারেনি জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট৷ ট্রাস্টের প্রধান হিসেবে মামলায় খালেদা জিয়াকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে৷ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এটিই প্রথম দুর্নীতির মামলা৷ মামলার অন্য চারজন আসামি হলেন হারিছ চৌধুরী, জিয়াউর ইসলাম, মানির হোসেন এবং জমির মালিক সুরাইয়া বেগম৷
এদিকে আজ বিশেষ জজ মোজাম্মেল হকের আদালতে বিদেশে অর্থ পাচার মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিনএনপি'র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তাঁর বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়৷ মামুন কারাগারে আটক আছেন আর তারেককে পলাতক দেখিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে৷ ২০০৯ সালের ২৬শে অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দুর্নীতি দমন কমিশন তরেক ও মামুনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা দয়ের করে৷ মামলায় অভিযোগ করা হয় তাঁরা ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ২০ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা সিংগাপুরে পাচার করেন৷ যা জানান দুদকের আইনজীবী আনিসুল হক৷
তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া অভিযোগ গঠন না করে আদালতের কাছে সময় চাইলে আদালত সময় দেননি৷ তারেকের আইনজীবী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক সরকারের অনুমতি নিয়েই দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে গেছেন৷
অর্থপাচারের মালায় আগামি ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে৷ এই সময়ের মধ্যে তারেক রহমান আদালতে হাজির না হলে, তাঁর অনুপস্থিতেই সম্পন্ন হবে বিচার কাজ৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ