খালেদার মুক্তির দাবিতে অনলাইনে পিটিশন
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট থেকে তহবিল তছরুপের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে৷ পুরান ঢাকার একটি পরিত্যক্ত কারাভবন সংস্কার করে সেখানে রাখা হয়েছে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এই রাজনীতিবিদকে৷ তাঁর মুক্তির দাবিতে রাজপথে নানা ‘অহিংস' কর্মসূচির পাশাপাশি অনলাইনেও তৎপরতা দেখা যাচ্ছে৷
জনপ্রিয় অনলাইন পিটিশন সাইট চেঞ্জ ডটঅর্গে খালেদার মুক্তির দাবিতে জাতিসংঘ বরাবর একটি আবেদন করা হয়েছে৷ ‘অ্যাডভোকেসি ফর গুড গর্ভনেন্স ইন বাংলাদেশের' ব্যানারে করা পিটিশনটিতে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করেছে৷ কুয়েতের আমিরের দেয়া অনুদানের যে অর্থ নিয়ে মামলা তা এখন ব্যাংকে জমা আছে এবং বর্তমানে মুনাফাসহ প্রায় তিনগুণ হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে পিটিশনে৷
ফেসবুকে অনেকেই এই পিটিশনটি শেয়ার করেছেন৷ সেখানে উত্তম কুমার নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘‘মাত্র ২ কোটি টাকার মিথ্যা মামলার জন্য যদি ৫ বছর কারাদণ্ড হয়, তাহলে শেয়ার বাজার, হলমার্ক, ডেসটিনি, সোনালি ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংক, জনতা ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা এবং ৯ বছরে মোট ১৩ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাটের অপরাধে কত বছরের কারাদণ্ড হওয়া উচিত?''
শামস শাহরিয়ার খান নামে আরেক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘‘খালেদা জিয়া কেন জিয়ার নামে আসা বিদেশি অনুদানের টাকা দিয়ে গত ২৮ বৎসরেও এতিম খানা না করে ঐ টাকা নানা জনের নামে ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করে রেখে বৃদ্ধি করলো, তার জবাব আমি নেয়ার কে? জবাব চাইতে পারে কেবল জিয়ার সৈনিকরা, মানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা, নাকি?''
পিটিশনের শেষাংশে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ দেয়ার জন্য জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে৷ ইতোমধ্যে এই পিটিশনে কয়েকহাজার স্বাক্ষর জমা হয়েছে৷ তবে জাতিসংঘে বিষয়টি উত্থাপনে ঠিক কত হাজার স্বাক্ষর প্রয়োজন বা আদৌ এ ধরনের পিটিশন জাতিসংঘ গ্রহণ করে কিনা তা পিটিশনের কোথাও উল্লেখ করা হয়নি৷ চেঞ্জ ডটঅর্গে জাতিসংঘের উদ্দেশ্যে এখন পর্যন্ত জমা পড়া পিটিশনের সংখ্যা ৭৭৩টি৷
এআই/এসিবি