খাশগজি হত্যাকাণ্ড
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক তদন্তকারী অ্যাগনিস ক্যালামা বলেছেন, ‘‘খাশগজি হত্যার ঘটনায় তুরস্কের তদন্তকে বারবার প্রভাবিত ও বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে সৌদি আরব৷ এমনকি ঘটনাস্থলে তুরস্কের কর্তৃপক্ষকে প্রবেশের অনুমতি দিতেও ১৩ দিন সময় নেয় সৌদি কনসুলেট কর্মকর্তারা৷ এ সময় তারা প্রমাণ সরিয়ে ফেলার কাজে ব্যস্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে৷''
গত অক্টোবরে তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় জামাল খাশগজিকে৷ এই ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে অ্যাগনেস ক্যালামার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইস্তানবুল সফর করে৷
সফর শেষে জেনেভায় এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের ভূমিকার সমালোচনা করেন ক্যালামা৷ তিনি বলেন, ‘‘খাশগজি হত্যার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত৷ এতে সৌদি কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সংযোগ রয়েছে৷’’
ক্যালামা আরো বলেন, খাশগজিকে জোর করে সৌদি আরব নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তাঁকে হত্যা করা হয় কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়৷ তিনি আরো বলেন, সৌদি কনসুলেট কর্মকর্তারা সব প্রমাণ সরিয়ে ফেলায় ফরেনসিক তদন্তকারীরা অকাট্য প্রমাণ সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছে৷
উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক খাশগজি সৌদি সরকারের সমালোচক ছিলেন৷ যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেয়া এই সাংবাদিক গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের কনসুলেটে গিয়েছিলেন বিয়ের জন্য কাগজপত্র সংগ্রহ করতে৷ সেখানেই তিনি নিহত হন৷
এফএ/এসিবি (এপি, এএফপি)