1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খুনের দায় স্বীকার: কর্নেল সাঈদ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ জুন ২০১৪

নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে হত্যা এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ র‌্যাব-১১'র সাবেক কমান্ডার লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ৷ তাঁকে গ্রেফতারের পর কয়েক দফা রিমান্ডে নেয়া হয়৷

https://p.dw.com/p/1CL97
Rapid Action Battalion RAB Spezialeinheit Militär Dhaka Bangladesh
ছবি: Getty Images/AFP

নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কে এম মহিউদ্দীনের আদালতে বুধবার বিকেলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন র‌্যাব-১১-এর সাবেক কমান্ডার লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ৷ তাকে মোট ছয় দফায় ৩৪ দিন রিমান্ডে নেয়ার পর তিনি শেষ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করলেন৷ এর আগে সকাল সাড়ে আটটায় গোপনীয়তা এবং কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাঁকে আদালতে নেয়া হয়৷

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘‘বিকেলে বিচারকের খাস কামরায় তারেক সাঈদ সাত খুনের ঘটনায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন৷ তিনি নিজে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন৷ তবে জবানবন্দির বিস্তারিত আর কিছু জানা যায়নি৷'' জবানবন্দি দেয়ার পর বিচারক তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷

লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা৷ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত মোট চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন৷ তারা হলেন র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা মেজর আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার এম এম রানা এবং প্রধান আসামি নূর হোসেনের দেহরক্ষী চার্চিল৷

র‌্যাবের দুই কর্মকর্তা আগে দেয়া তাদের জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তারাসহ মোট ১১ জন র‌্যাব সদস্যের নাম প্রকাশ করেছেন৷ তারা জানিয়েছেন, অপহরণের পরই সাতজনকে ইনজেকশন দিয়ে হত্যা করা হয়৷ পরে রাতে লাশ গুম করার জন্য শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়া হয়৷

গত ২৭শে এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়৷ ৩০শে এপ্রিল তাদের লাশ পাওয়া যায় শীতলক্ষ্যা নদীতে৷ এই ঘটনায় নিহত নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নজরুলের প্রতিপক্ষ নূর হোসেন র‌্যাব-১১'র কমান্ডার লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ এবং মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানাকে মোট ৬ কোটি টাকা ঘুস দিয়ে সাতজনকে হত্যা করায়৷ অভিযোগের পর তিন র‌্যাব কর্মকর্তাকে র‌্যাব থেকে প্রত্যাহার এবং সেনা ও নৌবাহিনীর চাকরি থেকে অবসরে পাঠানো হয়৷ এরপর আদালতের নির্দেশে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ৷

এই মামলার প্রধান আসামি আরেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন ঘটনার পর পরই ভারতে পালিয়ে যান৷ গত শনিবার তাকে কোলকাতার পুলিশ আটক করে৷ নূর হোসেনকে ৮দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সেখানকার পুলিশ৷ তাকে ভারত থেকে ফেরত আনার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেদেশের সরকারকে চিঠি দিয়েছে৷

বুধবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনকে কলকাতায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়েছে ভারত৷ ওই চিঠিতে নূর হোসেনকে গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে তার ব্যাপারে আরো তথ্য চাওয়া হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য