খেরসন থেকে সেনা সরাচ্ছে রাশিয়া
১০ নভেম্বর ২০২২খেরসন শহর হলো নদীর উত্তর দিকে। বুধবারই রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু খেরসন থেকে সেনাকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই এবং জেনারেল সুরোভিকিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সেনা এগোচ্ছে। তাই পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সুরোভিকিন টেলিভিশন বার্তায় বলেছেন, এখন খেরসন ও অন্য জায়গায় সরবরাহ পৌঁছে দেয়া সম্ভব নয়। তাই সেনাকে সরিয়ে অন্য তীরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাতে সায় দিয়েছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সেনা, অস্ত্রশস্ত্র ও অন্য জিনিসপত্র নিরাপদে নদীর অন্য তীরে নিয়ে যেতে হবে।
সেতুর ছবি
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নিপ্রো নদীর উপরে দারিভকা ব্রিজের ভেঙে পড়া ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সেতুটি পুরো ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। কিন্তু কারা, কীভাবে এই সেতু ধ্বংস করলো তা জানা য়ায়নি।
এই সপ্তাহের গোড়ায় আরেকটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে এসেছে। সেটা হলো, খেরসনের রাস্তায় রাশিয়ার সেনা নেই, সরকারি ভবনের উপরেও রুশ পাতাকা উড়ছে না। কিয়েভ অবশ্য বলেছিল, এই ছবিগুলি রাশিয়ার ফাঁদও হতে পারে। তারা মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে ইউক্রেনের সেনার জন্য ফাঁদ পেতেছে।
সুরোভিকিন জানিয়েছেন, এক লাখ ১৫ হাজার মানুষকে নিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইউক্রেন অবশ্য মনে করে, মানুষদের বিতাড়িত করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কিছুদিন আগেই রাশিয়া য়ে চারটি অঞ্চলে তথাকথিত গণভোট নিয়েছিল, তার মধ্যে খেরসন একটি। খেরসনের রাজধনী শহরের নামও খেরসন। এই এলাকাটি ক্রাইমিয়ার কাছে। ২০১৪ সালে রাশিয়া বেআইনিভাবে ক্রাইমিয়া অধিকার করেছিল বলে অভিযোগ।
বাইডেনের বক্তব্য
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রশিয়া যে খেরসন থেকে সেনা সরাচ্ছে, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, তারা যুদ্ধে সত্যিকারের সমস্যায় পড়েছে।
বাইডেন বলেছেন, ''পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রেও আমরা এভাবেই রাশিয়ার আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে পারব বলে মনে করি।''
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, আগামী মাসে ইউক্রেনের পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্য ওয়াশিংটন সফর করবেন।
ইউক্রেনের জিডিপি কমবে
ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাদের জিডিপি ৩৫ থেকে ৩৯ শতাংশ কমতে পারে। তাই সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ কমাবার চেষ্টা করছে। ছোট রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার বেসরকারিকরণও করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের আশা, অ্যামেরিকা তাদের জন্য ইস্পাত-মাসুল কম করবে। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইস্পাত উৎপাদকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অ্যামেরিকা মালুস কমালে তারা লাভবান হবেন।
জার্মানির আরো সাহায্য
জার্মান সরকার বুধবার ঘোষণা করেছে, তারা ইউক্রেনকে আরো সামরিক সাহায্য দেবে।
এবার তালিকায় আছে, সেনাদের জন্য ৩০টি সাঁযোয়া যান, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র, চারটি ড্রোন ডিফেন্স সিস্টেম, ১৮টি ড্রোন, ট্রাক ও ফর্কলিফ্ট।
কবে এসব ইউক্রেনে পাঠানো হবে তা জানানো হয়নি।
জিএইচ/কেএম(এপি, এএফপি, রয়টার্স)