খেলার অঙ্গন থেকে রাজনীতিতে
এমন ঘটনা কিন্তু নতুন নয়৷ খেলোয়াড় থেকে রাজনীতিবিদ হিসেবেও সফল– এমন দৃষ্টান্ত অনেক আছে৷ দেখুন...
জর্জ উইয়াহ: গণদাবির মুখে আবার রাজনীতিতে
লাইবেরিয়ার ফুটবলার হয়েও সেই ১৯৯৫ সালে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছিলেন উইয়াহ৷ ফুটবলকে বিদায় জানানোর কিছুদিনের মধ্যেই নাম লেখান রাজনীতিতে৷ ২০০৫ এবং ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন৷ কিন্তু দু’বারই হেরে যান৷ গণদাবির মুখে আবারও প্রার্থী হন ক্লাব ফুটবলের এই সাবেক বিশ্বতারকা৷ হয়ে যান প্রেসিডেন্ট৷
ভিতালি ক্লিচকভ: বক্সার থেকে মেয়র
ভ্লাদিমির ক্লিচকভের মতো তাঁর ভাই ভিতালিও ছিলেন ইউক্রেনের হেভিওয়েট বক্সার৷ তবে প্রায় এক দশক ধরে তিনি রাজনীতিবিদ৷ কিয়েভের মেয়র হয়েছেন তিনি ২০১৪ সালে৷
মানি পাকিইয়াও: ফিলিপাইন্সের ভবিষ্যৎ নেতা?
তিনিও সাবেক তারকা বক্সার৷ বক্সিং গ্লাভস তুলে রাখার পর থেকে তিনিও রাজনীতিতে সক্রিয়৷ ফিলিপাইন্সের প্রেসিডেন্ট দুতার্তের ঘোর সমর্থক তিনি৷ রাজনীতিবিদ হিসেবে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল৷ ইতিমধ্যে স্বয়ং দুতার্তে একাধিকবার বলেছেন, তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে পাকিইয়াওকে দেখতে চান তিনি৷
ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতানো সেই রোমারিও
১৯৯৪ সালে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন তিনি৷ পেলে আর রোনাল্ডো ছাড়া ব্রাজিলের বাকি সব ফুটবলারের চেয়ে দেশের হয়ে তাঁর গোল এখনো সবচেয়ে বেশি৷ ফুটবলের মতো তিনিও রাজনীতিতে সফল৷ সাবেক প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ-এর সোশ্যালিস্ট পার্টির একনিষ্ঠ কর্মী তিনি৷ রিও ডি জানেরোর সেনেটর তিনি৷
আর্নল্ড শোয়ার্ৎসেনেগার: দ্য টার্মিনেটর
হ্যাঁ, শোয়ার্ৎসেনেগার হলিউডের সুপারহিট মুভি ‘দ্য টার্মিনেটর’-এর নায়ক হিসেবেই বেশি পরিচিত৷ পরবর্তী জীবনে যে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার মেয়র হয়েছিলেন তা-ও অনেকের জানা৷ কিন্তু শোয়ার্ৎসেনেগার যে বডিবিল্ডার হিসেবে মাত্র ২৩ বছর বয়সে ‘মিস্টার অলিম্পিয়া’ হয়েছিলেন, সেটা কি জানেন?
বিল ব্র্যাডলি: এনবিএ-র চেয়েও যেন রাজনীতিতে সফল
এনবিএ-র ‘হল অফ ফেম’-এ নাম আছে তাঁর৷ ছিলেন নিউ ইয়র্ক নিক দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য৷ রাজনীতিতে যোগ দেয়ার পরও সাফল্য পিছু নেয়৷ ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে নির্বাচন জিতে প্রায় দু দশক ছিলেন নিউ জার্সির মেয়রের দায়িত্বে৷ ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের মনোনয়নও চেয়েছিলেন তিনি৷
সেবাস্টিয়ান কো: অলিম্পিক সোনাজয়ী থেকে....
১৯৮০-র অলিম্পিকে ব্রিটেনের হয়ে ১৫০০ মিটার দৌড়ের সোনা জিতেছিলেন সেবাস্টিয়ান কো৷ রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে সেই ১৯৯২ সালেই হয়েছিলেন সংসদ সদস্য৷ ব্রিটেনের উচ্চ কক্ষের ‘লর্ড’ হয়েছেন ২০০০ সালে৷ তাঁর সাম্প্রতিক সাফল্য অবশ্য ক্রীড়ঙ্গনেই৷ ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সেবাস্টিয়ান কো এখন আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সভাপতি৷
জেরাল্ড ফোর্ড: কলেজ ফুটবলার থেকে প্রেসিডেন্ট
রিচার্ড নিক্সন পদত্যাগ করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন জেরাল্ড ফোর্ড৷ খেলাধুলার সঙ্গে তাঁরও একটা যোগাযোগ ছিল৷ ১৯৩২ থেকে ১৯৩৪ পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের কলেজ ফুটবল দলে ছিলেন তিনি৷
ইমরান খান: ক্রিকেটার থেকে প্রধানমন্ত্রী
ক্রিকেটের ভালো অনুসারীরা ইমরান খানকে অবশ্যই চেনেন৷ পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক, বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার – এ সবের বাইরেও যে পরিচয়টি বড় হয়ে উঠেছে তা হলো, ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি৷ ক্রিকেট ছাড়ার পরই গড়ে তোলেন ‘তেহরিক-ই ইনসাফ’৷ এ দলের নেতা হিসেবে পাকিস্তানের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা শুরু করেছেন সে-ও অনেক দিনের কথা৷