খেলার মাঠেও টুইটার, ফেসবুক
২৩ আগস্ট ২০১০ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ক্রিকেট সিরিজ চলার সময়ে এই বিতর্ক দেখা দেয়৷ তবে খেলা চলার সময়ে ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড়রা টুইটার এবং ফেসবুক ব্যবহারের অনুমতি পাচ্ছে না৷ ইংল্যান্ড দলের মতে, খেলা চলার সময়ে সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবহারের অনুমতি থাকলে ড্রেসিং রুম থেকেই সব গোপন খবর প্রকাশ হওয়া শুরু করে৷ আর এই বিষয়টি নিয়ে দলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিতরা উদ্বিগ্ন৷
গত বছর ইংল্যান্ডে ‘এ্যাশেজ' সিরিজ চলাকালে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ফিল হিউস তৃতীয় সিরিজ শুরু হবার কয়েক ঘণ্টা আগেই টুইটার এবং ফেসবুকের কল্যাণে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি বাদ পড়েছেন৷ আর বিষয়টি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল উত্তেজনা৷
তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ম্যানেজার মিখাইল ব্রাউন বলেছেন, খেলোয়াড়রা যদি সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করে তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কোন সমস্যা নেই৷ অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্টেন রিকি পন্টিং বলেছেন, হেলমেটের পেছন থেকে খেলোয়াড়দের জানতে পারার জন্যে সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট একটি ভালো ব্যবস্থা৷ পন্টিং বলেন, আমরা যদি টুইটার এবং ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে, মানুষকে খেলার দিকে টানতে পারি তাহলে সেটি অবশ্যই ভালো৷ তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দেরকে মানুষ চেনে হেলমেট পরিহিত অবস্থায়৷ অস্ট্রেলিয়া অথবা সারা বিশ্বের অন্যান্য জায়গার মানুষ জানে না হেলমেট ছাড়া অবস্থায় খেলোয়াড়রা কে, কী পছন্দ করেন৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন