গড়ে নয় ঘণ্টায় একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
১২ এপ্রিল ২০১৮বৃহস্পতিবার ‘মৃত্যুদণ্ডের রায় ও কার্যকর ২০১৭’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি৷ এতে বলা হয়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়ার সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে৷ গতবছর কমপক্ষে ২৭৩ জনের বিরুদ্ধে এই রায় দেয়া হয়৷ ২০১৬ সালে সংখ্যাটি ছিল কমপক্ষে ২৪৫৷ ঐ বছর ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল৷ আর ২০১৭ সালে কার্যকরের সংখ্যা ছয়৷
সব মিলিয়ে ২০১৭ সালের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ছিল ১,৪৬৫ জন৷
অ্যামনেস্টি বলছে, গতবছর আগের বছরের তুলনায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার চার শতাংশ কমেছে৷ ২০১৭ সালে মোট ৯৯৩ জনের রায় কার্যকরা করা হয়৷ ২০১৬ সালে সংখ্যাটি ছিল ১,০৩২৷
সবচেয়ে বেশি রায় কার্যকরের ঘটনা ঘটেছে ইরানে৷ সে দেশে কমপক্ষে ৫০৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷ এর মধ্যে ৩১ জনেরটি কার্যকর করা হয় প্রকাশ্যে৷
তালিকায় ইরানের পর আছে সৌদি আরব, ইরাক আর পাকিস্তান৷
অবশ্য অ্যামনেস্টি বলছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি আসলে চীনে৷ সংখ্যাটি হাজার পেরিয়ে যাবে৷ কিন্তু ‘গোপনীয়’ আখ্যা দিয়ে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে না চীন সরকার৷
প্রতিবেদনটি প্রকাশ করতে গিয়ে সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলের কয়েকটি দেশের কথা উল্লেখ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি৷ তারা বলছে, গতবছর গিনি সব ধরনের অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া বাতিল করেছে৷ কেনিয়া হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি উঠিয়ে নিয়েছে৷ বুর্কিনা ফাসো তাদের খসড়া সংবিধানে মৃত্যুদণ্ড উঠিয়ে দেয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে অ্যামনেস্টি৷ আর চাদে এখন থেকে শুধু সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে৷
অ্যামনেস্টির মহাসচিব সলিল শেঠি বলেছেন, ‘‘সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলে এমন অগ্রগতি মৃত্যুদণ্ড বাতিল বিষয়ে অ্যামনেস্টির যে মূল লক্ষ্য সেই অবস্থানকে আরও শক্ত করবে৷ এছাড়া ঐ অঞ্চলের নেতৃত্বের কারণে অমানবিক, বর্বর এই শাস্তি বিলুপ্তির লক্ষ্য পূরণে আশার সঞ্চার হয়েছে৷’’
এখন পর্যন্ত সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলের ২০টি দেশ সব ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে৷ গত বছর শুধু সোমালিয়া আর দক্ষিণ সুদান মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে৷ ২০১৬ সালে সংখ্যাটি ছিল পাঁচ৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল)