1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গণতান্ত্রিক আর নিরপেক্ষ ইউক্রেইন গড়তে চান ইয়ানুকোভিচ

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০

শপথ নিলেন ইউক্রেইনের নতুন প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ৷ চরম অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেই দেশকে এগোতে হবে গণতন্ত্রিক পথে, একথাও বলতে ভুললেন না৷ সেইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন, পাশ্চাত্ত্যপন্থী মনোভাব খারিজ করার কথাও৷

https://p.dw.com/p/MBQh
বাইবেল স্পর্শ করে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য শপথ নিচ্ছেন ইয়ানুকোভিচ, কিয়েভে৷ছবি: AP

সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙে গেছে অনেক আগেই৷ ইউক্রেইন স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হলেও তার নেতৃত্বে আবার একজন রাশিয়াপন্থী প্রেসিডেন্ট এখন৷ ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ৷ পাশার দান উল্টে দিয়ে পাশ্চাত্ত্যপন্থী প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া টিমেশেঙ্কোকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি দ্বিতীয়দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে৷ তারপর টিমেশেঙ্কো সেই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করেও তেমন সুবিধা করতে ব্যর্থ৷ কারণ, পর্যবেক্ষকদের অভিমত নির্বাচন হয়েছে অবাধ এবং মুক্ত৷

ইয়ানুকোভিচ শপথ নিলেন বৃহস্পতিবার৷সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ার কথা তাঁর ভাষণে শোনা যায় নি বটে তবে তিনি এ বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ইউরোপের সঙ্গে বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার কোনরকম উদ্দেশ্য নিয়ে এগোবে না ইউক্রেইন৷ ইউরোপীয় রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের দেখতে চান তিনি কিন্তু কোন গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে নয়৷

Ukraine / Janukowitsch / Anhänger / Kiew
কিয়েভের রাজপথে ইয়ানুকোভিচ সমর্থকদের উল্লাসছবি: AP

প্রধানমন্ত্রী টিমোশেঙ্কো সহ ইউক্রেইনের রক্তপাতহীন অরেঞ্জ রিভোলিউশনের নেতাদের পরাজিত করে পাশ্চাত্ত্যবিরোধী ইয়ানুকোভিচের এই নির্বাচন বিজয় যে ইউক্রেইনের ওপরমহল পুরোপুরি মেনে নেয়নি এখনও তার প্রমাণ মিলেছে প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সভাঘর অর্দ্ধেক খালি থেকে যাওয়া দেখেই৷ প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া টিমেশেঙ্কো যেমন অনুপস্থিত ছিলেন, তেমনই অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেছে টিমোশেঙ্কো সমর্থক আরও অনেক সরকারি শীর্ষব্যক্তিদেরও৷ তবে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিনিধিদের হাজিরা ছিল ঠিকঠাক, যাতে সুরক্ষিত হয়েছে কূটনীতির মুখ৷

ইউক্রেইনের সামনে দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতি এবং অর্থনীতির চরম অবনমনের সমস্যা রয়েছে৷ নিজের সংক্ষিপ্ত এবং আবেগবর্জিত ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ সেদিকেই মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন বেশি৷ দারিদ্র দূরীকরণ, দুর্নীতি দমন এবং অর্থনীতির উন্নয়ন এই তিনটি বিষয়ে জোর দেবেন তিনি, বলেছেন ইয়ানুকোভিচ৷ সেইসঙ্গে গণতান্ত্রিক পথে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চান তিনি৷ একথাও জানিয়ে দিয়েছেন৷ ফলে সব মিলিয়ে একটি পক্ষপাতহীন দেশ ও সমাজ হিসেবে ইউক্রেইনের চরিত্র গঠন করার দিকেই যে নতুন প্রেসিডেন্টের নজর থাকবে, সেই দৃষ্টিভঙ্গী জানিয়ে দিতে কোন কসুর করেন নি ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ৷

প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা - হোসাইন আব্দুল হাই