গরমে ক্লান্ত-শ্রান্ত কলকাতা
জুন শেষ হতে চললো, এখনো বৃষ্টির দেখা নেই। রোদে-ঘামে জেরবার কলকাতার জনজীবন। অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস
হাওয়া অফিস বলছে, কলকাতার তাপমাত্রা এখন ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও অস্বস্তিসূচকের নিরিখে তা ৪৬ ডিগ্রির সমান। অর্থাৎ, ফিলস লাইক ৪৬ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৮১ শতাংশ। সে কারণেই অস্বস্তিসূচক এই জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে। আবহাওয়া গুমোট হয়ে আছে।
ফুটপাথবাসীদের অবস্থা
রোদে পুড়ছে শহর। তারই মধ্যে হাতপাখা দিয়ে শিশুকে সামান্য় স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছেন মা।
ছাত্রছাত্রীদের নাজেহাল অবস্থা
প্রবল গরমের কারণে এবছর সময়ের আগেই গরমের ছুটি পড়েছিল স্কুলে। গত ১০ জুন স্কুল খুলেছে। কিন্তু গরম কমেনি। নাজেহাল অবস্থা ছাত্রছাত্রীদের।
গরমে অসুস্থ
গরমে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বয়স্ক মানুষদের বাড়ি থেকে বার হতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকেরা। হিট স্ট্রোকে মৃত্য়ুর ঘটনাও ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় পুরসভার লাগানো কল থেকে জল খাচ্ছেন এক পথচারী।
লেবু জলের গাড়ি
কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ। আক্ষরিক অর্থেই এই কথা খেটে যাচ্ছে এই লেবু জল বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে। সারা বছর তাদের পসার তেমন জমে না। মানুষ দোকান থেকে কোলড্রিঙ্ক কিনে খান। কিন্তু প্রবল গরমে কলকাতার রাস্তায় দেদার বিকোচ্ছে লেবু-জল।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে এখনো তা প্রবেশ করেনি। সাধারণত, জুনের ১৫ তারিখের মধ্যে বর্ষা প্রবেশ করে কলকাতা-সহ শহরতলি অঞ্চলে।
ভয়াবহ পরিস্থিতি দিল্লির
দিল্লির অবস্থা আরো ভয়াবহ। তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রিতে গিয়ে পৌঁছেছে। বৃষ্টির নামগন্ধ নেই। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, তাপপ্রবাহ গোটা উত্তর ভারতে চলতে থাকবে।
কাপড়ে মুখ ঢাকুন
দিল্লিতে বিশেষ নির্দেশ জারি করা হয়েছে। রোদে বাইরে বার হলে কাপড় দিয়ে হাত-মুখ ঢেকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতায় সে উপায় নেই। প্রবল ঘামে কাপড়ে মুখ ঢাকা অসম্ভব।