1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গর্জে উঠলেন ল্যোভ!

১১ অক্টোবর ২০১৩

জার্মান ভাষায় ‘ল্যোভ' বা ‘ল্যোভে' কথাটার অর্থ যে ‘সিংহ', জাতীয় একাদশের কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ বুধবার ড্যুসেলডর্ফের সংবাদ সম্মেলনে সিংহগর্জন করে সেটাই প্রমাণ করে দিলেন৷ বক্তব্য: তিনিই ট্রেনার, আর কেউ নয়৷

https://p.dw.com/p/19xZF
KAISERSLAUTERN, GERMANY - AUGUST 14: Head coach Joachim Loew of Germany gestures during the international friendly match between Germany and Paraguay at Fritz-Walter-Stadium on August 14, 2013 in Kaiserslautern, Germany. (Photo by Alex Grimm/Bongarts/Getty Images)
ছবি: Getty Images

ট্রেনার, কোচ এবং ম্যানেজার, এই শব্দগুলো সমার্থক, নাকি প্রবীণতা ও মর্যাদার মাপকাঠির বিভিন্ন ধাপ, সেটাই অনেকে আজ অবধি ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেননি৷ ল্যোভকে জার্মান ভাষায় বলা হয় ‘বুন্ডেসট্রেনার' বা ফেডারাল ট্রেনার৷ ব্রাজিলে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করতে জার্মানির এই শুক্রবার আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জেতা দরকার৷ সেটা যে খুব অসাধ্যসাধন, এমন নয়৷ হয়ত কোয়ালিফিকেশন এতটা হাতের কাছে বলেই ল্যোভের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ আসলে ফুটবল একটা গাঁ কিংবা পরিবার: একটু ঝগড়া-কোঁদল-দলাদলি-মনকষাকষি না হলে কি গাঁ কিংবা পারিবারিক জীবনটা জমে? সেই জন্যেই হয়ত জার্মান মিডিয়া এখন সব ছেড়ে বুন্ডেসট্রেনারকে নিয়ে পড়েছে৷

তোমার পতাকা যারে দাও

যাই হোক, ল্যোভ যেন এবার একটা বুনিয়াদি ঘোষণা দিয়েছেন – সমালোচকদের প্রতিটি যুক্তি সাধ্যমতো খণ্ডন করে৷ তাঁর প্রথম কথাই হল: ‘‘হাতের পতাকার মতো বাতাস যেদিকে বইছে, সেদিকে উড়লে জাতীয় কোচের চলবে না৷ আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ ওদিকে অনেক স্বঘোষিত বুন্ডেসট্রেনার আছেন এবং থাকবেন, সেটাও স্বাভাবিক৷ ও আমি বহুবছর ধরে দেখছি৷''

এখন প্রশ্ন হলো: ঐ স্বঘোষিত বুন্ডেসট্রেনার-রা কী বলছেন৷

চোখের নজর কম হলে

মাট্স হুমেল্সের ফর্ম ভালো যাচ্ছে না৷ তাই কি ল্যোভ তাঁকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছেন? নাকি সাধারণভাবেই ডর্টমুন্ডের প্লেয়ারদের প্রতি ল্যোভের বৈমাত্রেয় সুলভ আচরণ? ল্যোভ খেপে-মেপে বলেছেন: ‘‘ওটা যারা ভাবে, তারা বাস্তবের খেয়াল রাখে না৷ আমাদের লক্ষ্য সব ক্লাব পলিটিক্স ছাড়িয়ে৷ কে কোন ক্লাব থেকে আসছে, সেটা কোনো ব্যাপারই নয়৷'' – আরেক প্রশ্ন: জার্মান ফুটবল ফেডারেশন বা ডিএফবি-র অভ্যন্তরে কি কোচের কোনো সমালোচনাই চলবে না?

স্পর্শকাতর?

‘‘কেউ যে কোনো রকম সমালোচনা করতে পারে না, এ কথা আমি নতুন শুনছি,'' বললেন ল্যোভ৷ আমরা চিরকালই গঠনমূলক সমালোচনা সহ্য করতে পারি৷ কেউ তার মতামত প্রকাশ করেছে বলেই তাকে দলে রাখা হবে কিনা, খেলানো হবে কিনা, এ সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না৷ দেখা হয় শুধু ফর্ম আর কোয়ালিটি৷'' – লেভারকুজেনের গোল-গেটার স্টেফান কিসলিং-কে এবারেও বিশ্বকাপ স্কোয়াডে না নেওয়ার কারণ কী?

এমার্জেন্সি নাম্বার

‘‘আমার ধারণাগুলো স্পষ্ট, ''বললেন ল্যোভ৷ ‘‘আমার সহকারীদের নিয়ে আমি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে এবং কোনোরকম চাপ ছাড়া সব সিদ্ধান্ত নিই৷ প্রতিবারেই আমি ক্যাডার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিই৷'' কিসলিং সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য: ‘‘আমি তাকে একেবারে বাদ দেব কেন?'' কিসলিং-এর মোবাইল নম্বর নাকি তাঁর কাছে আছে; বিশ্বকাপের আগে হঠাৎ প্রয়োজন পড়লে তা ঠিকই বার করা হবে৷

ভুয়ো ন'নম্বর

শেষমেষ আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে টিম নিয়ে প্রশ্ন৷ ক্যাপ্টেন ফিলিপ লামের জন্য পূর্বাপর ডানদিকের ডিফেন্সেই ভূমিকা রাখছেন ল্যোভ, তা লাম বায়ার্নের হয়ে যে খেলই দেখিয়ে থাকুন না কেন৷ লামের উল্টোদিকে, অর্থাৎ বাঁদিকে ডিফেন্সের পাল্লা ভারী রাখবেন খুব সম্ভবত মাক্স ক্রুজে৷ মিরোস্লাভ ক্লোজে আর মারিও গ্যোৎসে ইনজুরিতে থাকায় আবার একজন ‘ভুয়ো ন'নম্বরের' খোঁজে রয়েছেন ল্যোভ – যদিও টোমাস ম্যুলারের সে ভূমিকাটা পাবার সম্ভাবনা কম৷ সেক্ষেত্রে সামি কেদিরাকে ফুলব্যাক রেখে, হাফব্যাক পর্যায়ে শোয়াইনস্টাইগার ও টোনি ক্রোজকে বসিয়ে, একেবারে সামনে ম্যুলার, মেসুত ও্যজিল এবং শালকের ইউলিয়ান ড্রাক্সলারকে খেলাতে পারেন ল্যোভ৷

এসি/এসবি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য