গাছ বাঁচাবে বন্যার হাত থেকে
২৮ জুলাই ২০২২আজ কৃষক পাসিহানের কাছে এসেছেন মোনালিসা পুত্রি কাহারাপ৷ তিনি১০ কোটি গাছ লাগানোর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংগঠন ফেয়ারভেঞ্চার্সের প্রতিনিধি৷ পাসিহান বনায়ন প্রকল্পে প্রায় এক বছর ধরে কাজ করছেন৷ এরইমধ্যে কয়েকশত সেগুন গাছ লাগিয়েছেন তিনি৷ সেগুন খুব দ্রুত বড় হয়৷
মোনালিসা বলেন, ‘‘এগারো মাসে পায় ৫ থেকে ৬ মিটার লম্বা হয়৷ এ কারণে এ গাছ আমাদের পছন্দ৷ তারা যত বড় হয়, তত মাটিতে পুষ্টি যোগ হয়, উর্বরতা বাড়ে৷ আর এতে চাষীরা ক্ষেতে যে কোন গাছ লাগানোর সুযোগ পায়৷ এটা দ্রুত বড় হয় এবং ভাবুন, মধ্য কালিমানতানে লাখ লাখ গাছ কতটা কার্বন শুষে নেয়৷''
কৃষক ও তাদের পরিবারের জন্য এটি শুধু নিয়মিত আয়ের উৎস নয়৷ বোর্নিওতে বন্যা বাড়ছে৷ এটি এই চাষীদের জন্যও বড় সমস্যা৷
পাসিহান বলেন, ‘‘এখন বছরে তিন থেকে চারবার বন্যা হয়৷ আগে একবার বন্যা হতো বছরে৷ এখন মৌসুম যা-ই হোক, বন্যা হবেই৷ আমি মনে করি, এটা খনির প্রভাব৷ বন উজাড় করা হয়েছে৷ তাই মাটি আর পানি শোষণ করে না৷ যখন অনেক বৃষ্টি হয়, তখন বন্যা হয়৷''
বেশি করে গাছ লাগালে বন্যার প্রভাব কিছুটা কমবে৷ এই অঞ্চলে এরই মধ্যে কোটি খানেক নতুন গাছ লাগানো হয়েছে৷ এর কিছু কেটে কাঠ হিসেবে বিক্রি করা হবে এবং সেগুলোর জায়গায় নতুন গাছ লাগানো হবে৷ আইডিয়া হলো বোর্নিওতে ব্যবসা আকৃষ্ট করে চাষীদের সাহায্য করা৷
মোনালিসার ভাষায়, ‘‘ইন্দোনেশিয়ায় কাঠ শিল্প এখনো জাভাকেন্দ্রিক, তাই না? আমরা এই শিল্পোদ্যোক্তাদের কালিমানতানে বিনিয়োগ করার আহ্বান করছি৷ অথবা চাষীদের এই শিল্পে সরাসরি যুক্ত হতে সাহায্য করছি, যেন কোনো মধ্যসত্ত্বভোগী না থাকে৷ এই সিস্টেমের মাধ্যমে আমরা চাষীদের সর্বোচ্চ লাভের সুযোগ করে দিতে চাইছি৷''
চাষী লিঙ্গা কাসান খুবই আশাবাদী৷ তিনি আশা করেন যে, ১০ কোটি গাছের উদ্যোগ ভবিষ্যতে তার জীবন পালটে দেবে, একইসঙ্গে পরিবেশকেও সাহায্য করবে৷
রিস, ফালাহ/জেডএ