1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজা ইস্যুতে সরকার

১৮ জুলাই ২০১৪

বৃহস্পতিবার থেকে গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল৷ এতে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ২৩ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হওয়ার খবর দিয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা৷ আর নিজেদের এক সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল৷

https://p.dw.com/p/1Cetn
Gazastreifen Nahostkonflikt
ছবি: picture-alliance/dpa

গাজা সংকটের শুরু থেকেই ব্লগ আর ফেসবুকে অনেক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ আমারব্লগে রাশেদা খান লিখেছেন , এই বিষয় নিয়ে তাঁর কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল না৷ কিন্তু ফেসবুকে তাঁর বন্ধুদের কিছু মন্তব্য তাঁকে ব্লগ লিখতে বাধ্য করেছে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘...আমি হতভম্ব হয়ে দেখলাম কিছু ফেসবুক বন্ধু ইসরায়েলের সমর্থন করছে৷ আমি আসলেই চিন্তা করি নাই যে আমাদের দেশে বা পৃথিবীতে সুস্থ মস্তিকের কেউ প্যালেস্টাইনের সংগ্রামের বিপক্ষে কথা বলতে পারে..!!!!''

এরপর রাশেদা খান কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন, ‘‘আমি কি গোঁড়া? এই যে ভাবলাম, কীভাবে কেউ আসলে ইসরায়েলকে সাপোর্ট করে? নাকি আমি অজ্ঞ??? আমি কি মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই বলে এরকম চিন্তা করছি নাকি আপনারা অতিরিক্ত ইসলাম বিদ্বেষী বলে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে সেল্ফ ডিফেন্স বলছেন? হামাসকে সাপোর্ট করি না বলে কি প্যালেস্টাইনের সংগ্রাম কে অস্বীকার করবো? আমরা কি ভুলে যাচ্ছি যে, বেশিরভাগ প্যালেস্টাইনই শান্তি চুক্তিগুলোতে ইয়াসির আরাফাতের ‘লেনিয়েন্ট পজিশন' এর জন্য হামাসকে সাপোর্ট দিয়েছিলো, যাদের (হামাস) প্রধান লক্ষ্যই ছিলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি?''

এদিকে সামহয়্যারইন ব্লগে ইকবাল হোসাইন সুমন লিখেছেন , ‘‘কিছুদিন যাবৎ অবাধ মানবতার কিছু উদাহরণ দেখলাম ফেসবুক এবং বিভিন্ন ব্লগে৷ তাহাদের ভাষ্য হল, বাংলাদেশি মুসলমানরা হঠাৎ করে প্যালেস্টাইন মুসলমানদের উপর ইসরায়েলের হামলা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলছে সামাজিক মিডিয়াগুলোতে!!!? কেন এই প্রতিবাদী মুসলমান জনগোষ্ঠী সেদিন তুমুল কোনো প্রতিবাদ গড়ে তুলেনি, যেদিন রমনা বটমূলে হামলা হয়েছে, ২১শে আগস্ট হামলা হয়েছে, সারা দেশে জেএমবি দ্বারা সিরিজ বোমা হামলা হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি৷'' এরপর তিনি একটি গল্প দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন ‘‘কেন নির্দিষ্ট সম্প্রদায় তারই সম্প্রদায়ের বিপদে চোখের পানি এবং মনের কান্না এক সাথে বিসর্জন দেয়৷''

গাজায় প্রতিনিধি পাঠাবে ১৪ দল

দৈনিক প্রথম আলো জানিয়েছে গাজায় হতাহত ব্যক্তিদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে ১৪ দল৷ এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ১৪ দলের মুখপাত্র মো. নাসিম৷

দৈনিকটি ফেসবুকে এ সংবাদ প্রকাশ করলে সেখানে মন্তব্য করেছেন অনেকে৷ শামসুজ্জামান নোমান এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তবে শরিফুর রহমান লিখেছেন, ‘‘এসবে কোনো লাভ হবে না৷ পারলে সবাই ইসরায়েলি পণ্য ব্যবহার বন্ধ করেন এবং বাংলাদেশে ওদের পণ্য নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা করেন৷ তাহলে ওদের অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে৷'' এদিকে, ইমরান হোসেন লিখেছেন, ‘‘দলীয়ভাবে গিয়ে কি লাভ বলো? সরকারিভাবে পাঠাতে হবে৷ এখানে দলের নাম আসছে কেন? সরকার কিছু করতে পারছে না নাকি?''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য