স্মার্টফোনের গুণাগুণ
৮ মার্চ ২০১৪স্মার্টফোন ছাড়া আধুনিক জীবনযাত্রা আজকাল আর ভাবাই যাচ্ছে না৷ স্মার্টফোন থাকলেই দুনিয়াটা যেন হাতের মুঠোয় চলে আসে৷ কিন্তু গাড়িতে উঠলেই স্টিয়ারিং-এর দিকে মনোযোগ দিতে হয়৷ সঙ্গের ফোনটি বড়জোর ড্যাশবোর্ডের উপর হোল্ডারে রাখা যায়৷ ব্লু-টুথ-এর মাধ্যমে ফোন করাও চলে৷ কিন্তু গাড়ি চালাতে চালাতে এর বেশি কিছু করা কঠিন এবং বিপজ্জনক৷
গাড়ি তৈরির সময়ই এই স্মার্টফোন প্রযুক্তিকে আরও বেশি সমন্বয়ের কাজ এবার শুরু হয়ে গেছে৷ ছোট আকারের সস্তার গাড়ির মধ্যে বসানো বড় পর্দায় স্মার্টফোনের গুণাগুণ ঢোকানোর কাজ চলছে৷ বিশেষ করে ইউরোপে গাড়ি বিক্রি কমে চলায় নতুন এই চমকের উপর ভরসা করছে অনেক গাড়ি নির্মাতা৷ বেশি দামি গাড়িতে এমন প্রযুক্তির প্রয়োগ আগেই শুরু হয়ে গেছে৷ এবার সাধারণ গাড়িতেও তা কাজে লাগানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে৷
এই প্রবণতার মূলমন্ত্র হচ্ছে গাড়ির মধ্যে স্মার্টফোনের গুণাগুণের আরও ‘ইন্টিগ্রেশন'৷ অর্থাৎ আপনার স্মার্টফোনে যে গানের ফাইল ভরা রয়েছে, সহজেই তা গাড়ির স্পিকারে বাজানো যাবে৷ ফোনের জিপিএস ন্যাভিগেশন অ্যাপ-ও দেখা যাবে গাড়ির পর্দায়৷ কাউকে টেলিফোন করতে হলে নাম বললেই হলো৷ গাড়ির পর্দায়ই তার নাম ফুটে উঠবে৷ তারপর সহজেই তার সঙ্গে কথা বলা যাবে৷ মোটকথা স্মার্টফোনের সঙ্গে গাড়ির ‘সংলাপ' আরও পাকাপোক্ত হবে৷
তবে সব গাড়িতে সব স্মার্টফোনের ইন্টিগ্রেশন হবে, এমনটা কিন্তু সব ক্ষেত্রে ঘটছে না৷ যেমন অ্যাপেল কোম্পানি ‘কার-প্লে' প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশেষ কয়েকটি ব্র্যান্ডের গাড়িতে আইফোনের একটি গুণ যোগ করতে চলেছে৷ ব্যক্তিগত সহকারী ‘সিরি' তখন গাড়িতেও সরাসরি ব্যবহার করা যাবে৷ নোকিয়াও কিছু গাড়ি নির্মাতার সঙ্গে জোট বেঁধে ম্যাপ ও ন্যাভিগেশন সহ তাদের ‘হিয়ার' প্রযুক্তি সরাসরি গাড়িতেই ব্যবহারের পথ খুলে দিচ্ছে৷
এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)