1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাদ্দাফি সৈন্য সরালে অস্ত্র বিরতিতে রাজি বিদ্রোহীরা

১ এপ্রিল ২০১১

ইয়েমেনে শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর সরকার বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে৷ লিবিয়ার রাজধানী থেকে এসেছে গোলাগুলির খবর৷ জাতিসংঘের বিশেষ দূত বেনগাজিতে বৈঠক করেছেন বিদ্রোহীদের সঙ্গে৷ অস্থিতিশীল এই সময়ে বেড়ে যাচ্ছে তেলের দাম৷

https://p.dw.com/p/10m12
ছবি: dapd

তেল সমৃদ্ধ লিবীয় শহর ব্রেগার নিয়ন্ত্রণ নিতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে গাদ্দাফি বাহিনীর প্রচণ্ড যুদ্ধ যখন চলছে, তখন ত্রিপোলিতে শোনা গেছে ভারী অস্ত্রের গুলির শব্দ৷ প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলা এই গুলির শব্দে প্রকম্পিত হয়েছে রাজধানী, যে জায়গাটিকে এখন মুয়াম্মার গাদ্দাফির সবচেয়ে শক্ত ঘাঁটি বলেই মনে করা হচ্ছে৷ মিসরাটা শহরের উপর হামলা আরও জোরদার করছে গাদ্দাফির বাহিনী৷

এদিকে, বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য লিবিয়ার বেনগাজি যান জাতিসংঘের লিবিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত আব্দিল্লাহ আল খাতিব৷ তবে খুবই সংক্ষিপ্ত এই সফরে তিনি সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় কাউন্সিলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন৷ পরে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তিনি ও বিদ্রোহী নেতা মুস্তাফা আব্দুল জলিল৷ বিদ্রোহীদের নেতা বলেন, মুয়াম্মার গাদ্দাফি যদি তাঁর অনুগত সৈন্যদের সকল শহর থেকে তুলে নেন, তাহলে তাঁরা জাতিসংঘের দাবি অনুসারে অস্ত্রবিরতিতে রাজি আছেন৷ অন্যদিকে, ব্রিটেন সফররত লিবীয় সরকারের একজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে লন্ডন স্পষ্ট বলে দিয়েছে, গাদ্দাফিকে হটতে হবে – এছাড়া কোন গত্যন্তর নেই৷ গাদ্দাফি পুত্র সাইফ আল ইসলামের সহযোগী মোহাম্মদ ইসমাইল এখন লন্ডনে রয়েছেন মূলত গাদ্দাফির সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের একটি আপোশরফার পথ খুঁজতে৷ সেই চেষ্টাতেই তিনি যখন ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলিত হন তখনই এই কথা জানিয়ে দেয়া হয়৷

Libyen Krieg Gaddafi NATO Konferenz London Flash-Galerie
গাদ্দাফিকে সরাতে একমত বিশ্ব নেতারাছবি: AP

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লিবীয় সমস্যার সমাধানে রাজনৈতিক উদ্যোগ শুরু করতে পুনরায় আহ্বান জানিয়েছে জার্মানি এবং চীন৷ বেইজিং সফররত জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে এবং চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়াং জিয়াসি এক বৈঠকের পর এ কথা জানান৷

আরব জগতের আরেক দেশ ইয়েমেনে সরকারের পক্ষ এবং বিপক্ষ, দুই দিকের সমর্থকরা আজ মিছিল সমাবেশ করেছে রাজধানী সানায়৷ ৩২ বছর ধরে দেশের একক শাসক আলি আব্দুল্লাহ সালেহ'র পদত্যাগ দাবি করে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে শহরের প্রধান চত্বরে৷ জুম্মার নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদ থেকে তাঁরা মিছিল করতে করতে অকুস্থলে মিলিত হন৷ অন্যদিকে, শহরের অন্যপ্রান্তে নিজের হাজার হাজার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এক সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন প্রেসিডেন্ট সালেহ৷ সেখানে তিনি বলেছেন, তিনি তাঁর দেশের জন্য সব স্বার্থ ত্যাগ করতে পারেন৷ কিন্তু তাঁর পদত্যাগের কোন পরিকল্পনা নেই বলেই উল্লেখ করেছেন৷

জর্ডানের রাজধানী আম্মানে পথে নেমেছে কয়েকশত তরুণ৷ সরকার বিরোধী বিক্ষোভ থেকে তারা সেদেশের সংবিধান সংশোধনের দাবি জানাচ্ছে৷ সিটি হলের সামনে এই বিক্ষোভে মূলত নেতৃত্ব দিচ্ছে মার্চ ২৪ মুভমেন্ট নামের একটি সংগঠন৷ ঐ স্থানের পাশেই সরকার সমর্থক গোটা পঞ্চাশ ব্যক্তি সমাবেশ করেছে৷ প্রায় চার শতাধিক পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে৷ সিরিয়ার ৩টি শহরেও বিক্ষোভ দেখা গেছে৷ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দমন করতে কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করেছে৷

এদিকে, আরব বিশ্বের চলমান এই অস্থিতিশীলতার কারণে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম গত ৩০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে৷ ভয়ংকর অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক তেলের বাজার৷ আগামী মে মাস নাগাদ অপরিশোধিত তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি ২ দশমিক ২৩ ডলার বেড়ে ১১৭ দশমিক ৩৬ ডলারে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ লিবিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে গণ বিক্ষোভ ও অসন্তোষ অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি আরো ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানাচ্ছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য