গাদ্দাফির জন্ম শহর সির্ট-এর দখল নিচ্ছে বিদ্রোহীরা
২৮ মার্চ ২০১১আজ, অর্থাৎ সোমবার ভোররাত থেকেই লিবীয় নেতা মোয়াম্মার গাদ্দাফির জন্ম শহর সির্ট-এর ওপরে কোয়ালিশন বাহিনী বিমান হামলা চালাতে শুরু করে৷ একই সঙ্গে বিদ্রোহীরাও পিক-আপে মেশিনগান উঁচিয়ে এগিয়ে চলে সির্ট এর দিকে৷ তারা সির্ট দখল করে নেয় বলেই খবর পাওয়া গেছে৷ বিদ্রোহীরা পশ্চিমে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার সীমানা বাড়াতে চলেছে৷ তবে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, মিসরাটা শহরের একটা অংশ থেকে বিদ্রোহীরা তাদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে৷ অর্থাৎ শহরটির একটা অংশ দখল করে নিয়েছে গাদ্দাফি বাহিনী৷ মিসরাটা লিবিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর৷ বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র শহরটি থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারানোর খবর দিয়েছেন৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ মুখপাত্র বলেন, ‘‘শহরের একটা অংশ বিদ্রোহীদের দখলে তবে অন্য অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে গাদ্দাফির সমর্থক বাহিনী৷'' গাদ্দাফির সরকার দাবি করছে যে, মিসরাটা ‘মুক্ত' অর্থাৎ শহরটির নিয়ন্ত্রণ তাদের কাছে আছে৷ তবে এই ব্যাপারে তারা আর বিস্তারিত কিছু জানায়নি৷
এদিকে লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সোমবার ভোরে গোলাবারুদের বাঙ্কারে ব্রিটিশ জঙ্গি বিমান থেকে বোমা বর্ষণ করা হয়েছে৷ কর্মকর্তারা বলেন, সপ্তাহান্তে আজদাবিয়া এবং মিসরাটা শহরের কাছে কয়েকশ ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া বহরকে অচল করে দেওয়ার পরে এই বোমা হামলা চালানো হলো বাঙ্কারের ওপরে৷
লিবিয়ার মিশনে নিয়োজিত ন্যাটো কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল চার্লস বুচার্ড বলেছেন, লিবিয়ার বেসামরিক মানুষকে রক্ষা করার জন্যেই এই সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে৷ বিদ্রোহীরা যাতে এগিয়ে যেতে পারে, সেইজন্যে গাদ্দাফির বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতেই এই মিশন পরিচালনা করা হচ্ছে৷ লিবিয়া মিশনের নেতৃত্ব রবিবার ন্যাটোর হাতে তুলে নেওয়ার অর্থ হচ্ছে, বেসামরিক জনগোষ্ঠীর জন্যে ক্ষতিকারক গাদ্দাফির বাহিনীর পক্ষ থেকে এমন কোন হুমকি দেখা দিলে ন্যাটো চাইলে গাদ্দাফির বাহিনীর উপর বোমা বর্ষণও করতে পারে৷
লিবীয় সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছে, কোয়ালিশন বাহিনীর বিমান হামলায় সির্ট শহরের বন্দরে তিনজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন৷ লিবিয়ায় সামরিক অভিযানের পুরো নেতৃত্ব ন্যাটো গ্রহণ করার পরেই কোয়ালিশন বাহিনী সির্ট-এ ঐ অভিযান পরিচালনা করলো৷ শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে৷
প্রতিবেদন:ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা:সঞ্জীব বর্মন