গাদ্দাফির সমর্থকদের হামলায় নিহত ১২ বিদ্রোহী
১২ সেপ্টেম্বর ২০১১গাদ্দাফি সমর্থকদের হামলা
অনেক দিন পর আবার তাদের আক্রমণের খবর পাওয়া গেল৷ গাদ্দাফি পালিয়ে যাওয়ায় অনেকে মনে করেছিলেন হয়তো লিবিয়ায় গাদ্দাফির যুগ শেষ৷ কিন্তু সোমবারের ঘটনাটি আবার সবাইকে কিছুটা নতুনভাবে ভাবিয়ে তুলেছে৷ ঘটনাটা হচ্ছে, রাস লানুফ শহরের একটি তেল শোধনাগারে হামলা করেছিল গাদ্দাফির সমর্থকরা৷ এতে ১২ জন বিদ্রোহী মারা গেছে৷ এনটিসির সামরিক মুখপাত্র বলছেন, গাদ্দাফির সমর্থকরা পাঁচটি গাড়িতে এসে হামলা করে৷ তবে তারা শোধনাগারে ঢুকতে পারেনি৷
অন্য শহরেও গাদ্দাফি সমর্থকদের প্রতিরোধ
গাদ্দাফির নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্য শহরগুলোতেও বেশ প্রতিরোধ গড়ে তুলছে তাঁর সমর্থকরা৷ বিশেষ করে বনি ওয়ালিদ শহরে বিদ্রোহীরা বেশ প্রতিরোধের মুখে পড়েছে৷ আগে যেমনটা বলা হচ্ছিল যে, একদিনের মধ্যেই শহরটার নিয়ন্ত্রণ নেয়া যাবে সেখানে দেখা যাচ্ছে এখনো যুদ্ধ চলছে৷ রবিবার সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে৷ ভয়ে শহরবাসীরা পালিয়ে যাচ্ছেন৷ এদিকে গাদ্দাফির জন্মভূমি সিরতে'তেও বিদ্রোহীরা ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়ছেন৷ উল্লেখ্য, বনি ওয়ালিদ আর সিরতে ছাড়াও সাভা আর ওয়াদ্দেন শহরও গাদ্দাফির সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷
গাদ্দাফির ছেলে নাইজারে
গাদ্দাফির তৃতীয় ছেলে সাদি গাদ্দাফি নাইজারে চলে গেছেন৷ নাইজারের বিচারমন্ত্রী মারু আমাদো স্বয়ং জানিয়েছেন এই কথা৷ সাদি হলো সেই ছেলে গতমাসে যিনি বলেছিলেন যে, তাঁর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে যদি লিবিয়ায় রক্তপাত বন্ধ হয় তাহলে তিনি সেটা করতে রাজি আছেন৷
ন্যাটো
লিবিয়ায় এখনো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ন্যাটো৷ সেটা এখনই বন্ধ করা উচিত হবে বলে মনে করেন না মহাসচিব আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন৷ সোমবার লন্ডনে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান৷ তিনি বলেন, লিবিয়ার সাধারণ মানুষ এখন নিরাপদ নয়৷ গাদ্দাফির সমর্থকরাও এখনো জনগণের জন্য হুমকিস্বরূপ৷ ন্যাটো মহাসচিব বলেন, গাদ্দাফি কোথায় আছেন তা তিনি জানেন না৷ যুদ্ধ শেষে লিবিয়া গঠনে ন্যাটো কোনো ভূমিকা রাখবে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে রাসমুসেন বলেন, রাখতে পারে, কিন্তু সেটা নেতৃস্থানীয় কিছু নয়৷ তিনি বলেন, এ ব্যাপারে জাতিসংঘের প্রধান ভূমিকা রাখা উচিত৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক