গাড়ি মেলায় পরিবেশবাদীদের হানা
ফ্রাঙ্কফুর্টে শনিবার এক গাড়ি মেলায় হানা দিয়েছেন বেশ কয়েক হাজার পরিবেশ আন্দোলনকারী৷ জার্মানির কয়েকটি পরিবেশবাদী গোষ্ঠীর সম্মিলিতিভাবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেন৷ এসব গোষ্ঠীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য জেনে নেওয়া যাক৷
সম্মিলিতভাবে কাজ করছে পরিবেশবাদী গোষ্ঠীগুলো
ফ্রাঙ্কফুর্টে শনিবার যেসব সংগঠন গাড়ি মেলাকে ঘিরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে সেগুলোর একটি হচ্ছে #ফ্রাইডেফরপ্রটেস্ট৷ পরিবেশরক্ষায় এই সংগঠন শুরু করেন গ্রেটা টুনব্যার্গ৷ তিনি জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ব্যবস্থা নিতে তাঁর সরকারকে রাজি করাতে প্রতিদিন সুইডেনের সংসদ ভবনের সামনে অবস্থান করতেন৷ শনিবারের কর্মসূচিতে অংশ নেয়া অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ছিল গ্রিনপিস, ক্রিটিক্যাল মাস এবং এক্সটিনশন রিবালিয়ান৷
পরিবর্তনে জন্য সাইকেল চালানো
ক্রিটিক্যাল মাস হচ্ছে সাইকেল আরোহীদের একটি সংগঠন যারা ১৯৯২ সাল থেকে পরিবেশ বাঁচাতে আন্দোলন করছে৷ সান ফ্রান্সিসকোতে কার্যক্রম শুরু করা সংগঠনটি এখন গোটা বিশ্বেই বিস্তৃত৷ তারা আন্দোলনের কৌশল হিসেবে অনেক বড় সংখ্যায় সাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামে যাতে গাড়ি চালকরা তাদের বিষয়ে আরো সচেতন হয়৷
পরিবর্তন চায় গ্রিনপিস
গ্রিনপিস হচ্ছে একটি অহিংস পরিবেশবাদী সংগঠন৷ জলবায়ু পরিবর্তন এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রাখতে ২০২০ সালের মধ্যে এক বৈশ্বিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে চায় সংগঠনটি৷
দহন যন্ত্রের মৃত্যু?
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে কমবাস্টন বা দহন ইঞ্জিনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে এরমধ্যে গবেষণায় জানা গেছে৷ জার্মানির মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এক গবেষণা অনুযায়ী, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখতে চাইলে ২০২৫ সালের মধ্যে ডিজেল এবং পেট্রলচালিত নতুন গাড়ির বিক্রি বন্ধ করে দিতে হবে৷ আর এটা করা গেলে সেই লক্ষ্য ৬৬ শতাংশ অর্জন সম্ভব হবে৷
‘আমরা আমাদের ফুসফুস বদলাতে পারিনা’
পরিবেশবাদীদের আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে বায়ু দূষণ৷ বিশ্বের অনেক দেশে বায়ু দূষণের হার বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে গেছে যা অত্যন্ত ক্ষতিকর৷
বেশি ক্ষতি করছে এসইউভি
গ্রিনপিসের অর্থায়নে জার্মানির মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের গবেষণা থেকে এটা পরিষ্কার যে এসইউভি বা স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল পরিবেশের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর৷ এসব গাড়ির ওজন বেশি হওয়ায় এবং আকৃতি পরিবেশের জন্য সুবিধাজনক না হয় সেগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়৷
সরকারের ধীরগতি
পরিবেশবাদী আন্দোলনকারীরা মনে করেন যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিরোধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে বিভিন্ন দেশের সরকার যথেষ্ট উদ্যোগী হচ্ছে না৷ তাদের এই ধীরগতি পরিবেশের ক্ষতি বাড়াচ্ছে৷