ভাষাগত দূরত্ব কমছে
২১ ডিসেম্বর ২০১২ইন্টারনেট সারা বিশ্বকে এক সুতায় গেঁথে দিয়েছে, একথা অস্বীকার করার উপায় নেই৷ তবে ভাষাগত ব্যবধান এখনো এই একীভূতকরণকে বাধা দিচ্ছে৷ আশার কথা হচ্ছে, বিভিন্ন জাতির মধ্যে ভাষাগত ব্যবধান ঘুচিয়ে আনতে কাজ করছে গুগল, মাইক্রোসফটসহ বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা৷ ইন্টারনেটে বিনা খরচায় এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় যে কোনো তথ্য ভাষান্তর এখন সম্ভব হচ্ছে৷ ভাষান্তরের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বটে৷ কিন্তু ‘মোটামুটি বোঝার' পর্যায়ে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে অনেক ভাষান্তর প্রক্রিয়া৷
বর্তমানে মাস প্রতি গড়ে বিশ কোটির বেশি মানুষ গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করছেন, জানান ফ্রেঞ্জ জোসেফ ওক৷ গুগলে ভাষান্তর বিষয়ে কাজ করেন তিনি৷ চলতি বছরের শুরুর দিকে জোসেফ গুগল ব্লগে লিখেছিলেন, ‘‘ বর্তমানে পৃথিবীতে অধিকাংশ ভাষান্তরই করা হচ্ছে গুগলের মাধ্যমে৷''
তবে যন্ত্রের মাধ্যমে ভাষান্তরের মানোন্নয়নে এখনো অনেক কাজ বাকি, সেটা স্বীকার করেছেন জোসেফ৷ তিনি বলেন, ‘‘একটি ওয়েবসাইট যদি ফরাসি ভাষায় হয় এবং আপনি যদি ফরাসি ভাষা পড়তে না জানেন, তাহলে যন্ত্রের ভাষান্তর আপনাকে খুব একটা খুশি করবে না সত্যি, তবে (ওয়েবসাইটটির বিষয়াদি) আপনি বুঝতে পারবেন৷''
গুগলের মতো ইন্টারনেট ট্রান্সলেটরগুলো মূলত সম্ভাব্য ভাষান্তরটি প্রকাশ করে৷ এক্ষেত্রে ভাষাভেদে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক৷ কিংবা আপনি যে বাক্যটি ভাষান্তর করতে চাচ্ছেন, সেটির অর্থও পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে৷ যেমন, আপনি যদি ইংরেজি বাক্য ‘‘উই উইশ ইউ এ মেরি ক্রিসমাস অ্যান্ড এ হ্যাপি নিউ ইয়ার!''-কে জার্মান ভাষায় ভাষান্তর করেন, তাহলে প্রায় নির্ভুল ভাষান্তরই পাবেন৷ কিন্তু বাংলায় ভাষান্তর করতে গেলে গুগল ট্রান্সলেটর দেখাবে, ‘‘আমরা ইচ্ছুক একটি শুভ বড়দিন এবং শুভ নববর্ষের আপনি!'' অর্থাৎ ভাষান্তরের বিবেচনায় এটি অত্যন্ত দুর্বল, তা সত্ত্বেও ইংরেজি বাক্যটির অর্থ কিছুটা হলেও বোঝা সম্ভব৷
গুগল কিন্তু সংস্থাটির ভাষান্তর সেবার মানোন্নয়নে সদা তৎপর৷ এক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাষাকে তারা নির্দিষ্ট কিছু ধাপে রেখেছে৷ যেমন বাংলা ভাষান্তর রয়েছে ‘আলফা', মানে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে৷ এটির যে এখনো অনেক অনেক উন্নয়ন প্রয়োজন তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷