গুজরাট
১০ ডিসেম্বর ২০১২আর ৪৮ ঘণ্টা পেরোলেই গুজরাট বিধানসভার প্রথম পর্বের ৮৭টি আসনে ভোট৷ প্রচার অভিযানের শেষ দিন আজ৷ তাই প্রধান দুটি যুযুধান দল বিজেপি ও কংগ্রেসের কাজিয়া এখন তুঙ্গে৷ কথা হলো, এই নির্বাচনে রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায় কতটা উপকৃত হবে? উন্নয়নের সুফল কতটা পেয়েছে তারা? কী আশা করে তারা নির্বাচিত নতুন সরকার থেকে? গুজরাটে রাজনৈতিক মেরুকরণের শিকার হয়েছে তারা৷ বঞ্চিত হয়েছে উন্নয়নের সুফল থেকে৷ তাই ভোট নিয়ে তাদের হেলদোল নেই৷
গুজরাট বিধানসভার ১৮২টি আসনের জন্য একজনও মুসলিম প্রার্থী নেই৷ ৫ কোটি ৭৫ লাখ ভোটদাতার মধ্যে ৭৫ লাখ মুসলিম ভোট৷ প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং নির্বাচনি প্রচারে গিয়ে মোদীর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তাস খেলেন৷ বলেন, বিভাজনের রাজনীতি করছেন মোদী সরকার, যা দেশ ও সমাজকে দুর্বল করছে৷ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়৷ উল্লেখ্য, ২০০২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ক্ষত আজও শুকায়নি৷ দেড় থেকে ২ হাজার লোক হয়েছিল তার বলি৷
পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে মোদী৷ বলেছেন, ভোটের জন্য কংগ্রেস সংখ্যালঘু তাস খেলছে৷ ভোট ব্যাংক রাজনীতির ওপরে উঠতে পারেনি কংগ্রেস৷ সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে উন্নয়নের নিরিখে গুজরাট আজ প্রথম সারিতে এমনটাই তাঁর দাবি৷ তিনি তুলে ধরেছেন সুশাসন, কর্ম সংস্থান, কাছে টানতে চেয়েছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে যারা বিজেপি'র ভোট ব্যাংক৷
উন্নয়নের দাবি খারিজ করে সোনিয়া গান্ধী পরিবর্তনের ডাক দিয়ে বলেন, জল ও বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে রাজ্যের মানুষ, বিশেষ করে কৃষিজীবীরা৷ জল সংকট মোকাবিলায় সেচ প্রকল্প ব্যর্থ হয়েছে মোদী সরকার শুধু রাজনীতি করার জন্যই৷ কেন্দ্র বিদ্যুৎ দেয়া সত্ত্বেও কেন সাড়ে চার লক্ষ কৃষক বিদ্যুৎ পাচ্ছে না – তার জবাব দিক মোদী সরকার৷
তবু কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদীর কঠোর ও স্বেচ্ছাচারি ভাবমূর্তি সত্ত্বেও তাঁর পায়ের তলার মাটি গুজরাটে শক্ত৷ তৃতীয়বার জিতে ফিরলে নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি'কে নিয়ে যাবে নতুন শিখরে৷