ভারতে নির্বাচন
২০ ডিসেম্বর ২০১২প্রত্যাশিতভাবেই গুজরাট নির্বাচনে ‘হ্যাট্রিক' করলেন নরেন্দ্র মোদী৷ গুজরাট নির্বাচনে কার্যত দলের হাল ধরেছিলেন মোদী একাই৷ বিধানসভার ১৮২টি আসনের মধ্যে ১২২টি আসন বিজেপির ঝুলিতে৷ প্রতিপক্ষ কংগ্রেস পেয়েছে ৬০টি আসন৷ গুজরাটের বর্ষিয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কেশুভাই প্যাটেলের পরিবর্তন দল সুবিধা করতে পারেনি৷ এই নিয়ে পর পর পাঁচবার বিজেপি ক্ষমতায় এলো গুজরাটে৷
মোদীর এই সাফল্য জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর আসন পাকা করে দিল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ আগামী সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্নটা আবার উস্কে দিল মোদীর৷ কিন্তু পথ অনেক বাকি৷ দলের মধ্যেই এই নিয়ে রয়েছে বিভাজন৷ বিজেপি মুখপাত্র বলেন, মোদীর মতো যোগ্য ব্যক্তির অভাব নেই দলে৷ কাজেই সময় এলে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম জাননো হবে৷ তবে মোদীর সুশাসনের প্রতি জনগণের যে আস্থা আছে – এই ফলাফল তারই প্রমাণ৷
মোদীর জয় সম্পর্কে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বললেন, এই জয় প্রত্যাশিতই ছিল৷ কারণ কোনো বিরোধীদল গুজরাটে জনগণের মনে দাগ কাটতে পারেনি৷ একমাত্র ইস্যু ছিল সাম্প্রদায়িকতা৷ ভেবেছিল এই ইস্যুতেই বুঝি মোদীকে কাত করা যাবে৷ সেটা সম্ভব হয়নি৷ কারণ, মোদীর একটা ‘ইমেজ' তৈরি হয়েছে দক্ষ প্রশাসক হিসেবে৷
মোদীর জয়ের পেছনে যেসব ফ্যাক্টর কাজ করেছে তা হলো, গুজরাটিরা মূলত ব্যবসাদার৷ তাঁরা রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে এত মাথা ঘামায় না৷ মোদীর কাছ থেকে ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধার আশ্বাস পাওয়ায় কোনো সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি৷
কীভাবে পৌঁছালেন মোদী আজকের শিখরে? দেশে-বিদেশে এক বিতর্কিত ব্যক্তির নাম নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী৷ জন্ম ১৯৫০ সালে৷ রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ৷ ছেলেবেলা থেকেই হিন্দু মৌলবাদী সংগঠন আরএসএস করতেন৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন ২০০১ সালে৷ ২০০২ সালের গুজরাট সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তাঁকে দাঁড় করিয়েছিল খাদের কিনারে৷ ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে৷ কিন্তু পরের নির্বাচনে জিতে আবারো ফিরে আসেন মোদী৷
ওদিকে, হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস পেয়েছে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা৷ ৬৮টি আসনের মধ্যে ৩৬টি আসন কংগ্রেসের ঝুলিতে৷ শাসক দল বিজেপি পেয়েছে ২৪টি ৷